জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৪১:৫৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বাংলাদেশ বিমানে নিয়োগ পাচ্ছে ৩০০ নতুন কেবিন ক্রূ , ছেলেমেয়ে উভয়ই অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ❏ নভো এয়ারলাইন্সে বিনা অভিজ্ঞতায় কেবিন ক্রু (নারী ও পুরুষ উভয়ই) পদে চাকরি, যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা !

বাংলাদেশী টপলেস ম্যাক এখনও আলোচনায়

| ৪ ভাদ্র ১৪২১ | Tuesday, August 19, 2014

Photo: বাংলাদেশী টপলেস ম্যাক এখনও আলোচনায় ▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬ >>মূল :: sangbadkantha.com/219  বাংলাদেশী টপলেস তরুণীকে দিয়ে বাংলাদেশী পোশাক আমদানিকারকদের অপদস্থ করতে চেয়েছে মার্কিন পোশাক নির্মাতা আমেরিকান অ্যাপারেল। তবে টপলেস হয়ে ২২ বছর বয়সী ম্যাক যে ঝড় গত মার্চে তুলেছিলেন তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পত্রপত্রিকায় এক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুণী গত ৪ মাস ধরে আলোচনায় আছেন। এ সপ্তাহে ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ বিষয়ে নতুন করে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে।   একদা ঢাকার একটি রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা ম্যাকের নগ্ন বক্ষে লেখা হয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’।   ম্যাকের এই কাহিনী আমেরিকান অ্যাপারেলকে ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক অ্যামেরিকান অ্যাপারেল তাদের বাজারজাত করা জিন্সকে জনপ্রিয় করতেই ম্যাককে দিয়ে এ ধরনের আলোড়ন সৃষ্টিকারী উপাখ্যান তৈরি করেছে।   ‘আমেরিকান অ্যাপারেল’ সাধারণত চাঞ্চল্য ও বিতর্ক সৃষ্টি করতে উন্মুখ হয়ে থাকে। ম্যাকের পরনের জিন্সটি বাংলাদেশের তৈরি ছিল না। এটি অ্যামেরিকান কোম্পানির তৈরী। তাই এই বিজ্ঞাপনচিত্রের অন্যতম টার্গেট হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি। এর থিম হচ্ছে ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের গার্মেন্ট কারখানা এবং সেখানকার অনিরাপদ পরিবেশ।’   সে কারণে অনেকটা উপহাস করতেই বাংলাদেশী তরুণীকে দিয়ে তারই নগ্নবক্ষে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা হয়েছে। পোশাক বা ফ্যাশন নয়, টার্গেট হলো বাংলাদেশী রুগ্‌ন পোশাক কারখানা।    ম্যাকের বিতর্কিত আলোকচিত্রে দেখা যাচ্ছে টপলেস ম্যাক একটি জিন্স পরে আছে। কিন্তু সেই জিন্সেরও চেইন অনেকটা খোলা। তবে সেদিকের চেয়েও যাতে সবার নজর  ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ কথাটির ওপর পড়ে সে কারণেই এই যৌন আবেদনময়ী কৌশল। ছবির নিচে লেখা: ‘ম্যাক একজন মার্চেন্ডাইজার।   ২০১০ সাল থেকে তিনি অ্যামেরিকান অ্যাপারেলের সঙ্গে আছেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় তার জন্ম। ম্যাক হবহু স্মরণ করতে পারেন যে তিনি তার মুসলিম রক্ষণশীল পিতা মায়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। শিশু থাকতে ঢাকার মসজিদেও তিনি গিয়েছেন।   তার বয়স যখন চার, তখন তার বাবা-মা ভাগ্যের অন্বেষণে ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যারিনা ডেল রে-তে আসেন। ঢাকা থেকে বহু দূরে শিশু ম্যাকের সামনে তখন নতুন পৃথিবী। তদুপরি তিনি তার বাবা মায়ের ধর্মবিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখেই বেড়ে ওঠেন।   তবে হাইস্কুলে প্রবেশের পরে ম্যাক অনুভব করতে শুরু করে যে, তার একটি নিজস্ব স্বকীয়তা গড়ে ওঠা উচিত। তখন থেকে ম্যাক নিজেকে ইসলামী ঐতিহ্য থেকে দূরে সরাতে থাকেন। নতুন সৃজনশীলতার সন্ধানে থাকা ম্যাক এই বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য অবলীলায় পোজ দিয়েছেন।   ম্যাক ইদানীং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের কিছু সাংস্কৃতিক ধারা রপ্ত করেছেন। কিন্তু নগরীর কৃত্রিম আনন্দবৃত্তের তিনি বন্দিনী হতে চান না। কেউ তাকে আমেরিকান বা বাঙালি পরিচয়ে আটকে ফেলুক সেটাও তার প্রত্যাশা নয়। কারও বর্ণনা অনুযায়ী তার জীবনের ছন্দকে তিনি লেখাতে চান না। ম্যাকের এই দৃষ্টিভঙ্গিই লস অ্যাঞ্জেলেসে তাকে আরও অনিবার্য করে তুলেছে। ক্রমশ সম্প্রসারণশীল আমেরিকান অ্যাপারেল পরিবারের তিনি এখন অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব’।  তবে ম্যাক পোজ দিয়েছেন একটি হাইওয়েস্ট জিন পরে। ওই বিজ্ঞাপন ভাষ্যের শেষ বাক্য হচ্ছে: ‘‘এই জিন্স তৈরি করেছে লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলির ২৩ জন দক্ষ কর্মী, যাদেরকে ন্যায্য মজুরি দেয়া হয়। এই কর্মীরা স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক বেনিফিট নিয়েই জীবনযাপন করেছেন।’’  উল্লেখ্য, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে আমেরিকান অ্যাপারেল সিইও ডোভ চার্নি আমেরিকার বাইরে থেকে পোশাক আমদানি করা সংক্রান্ত মার্কিন সরকারি নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।   মি. চার্নি লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘কতিপয় ফ্যাশন জায়ান্ট বাংলাদেশের মতো অবিশ্বাস্য দুরবস্থায় থাকা কারখানা থেকে পোশাক তৈরি করে এনে আমেরিকার বাজারে বিক্রি করে। এসব ব্রান্ড তৈরি হয় এমনই পরিবেশে যেখানে উলঙ্গ মানবতা হাঁপুস নয়নে কাঁদে।’   আমেরিকান অ্যাপারেল অবশ্য কেবল বাংলাদেশকেই টার্গেট করেছে তা নয়। তারা সব ধরনের বৈদেশিক উৎস থেকে পোশাক তৈরি করে আনার বিরোধী। সে কারণে তারা তাদের বিজ্ঞাপনে প্রচার করে থাকে যে, তাদের তৈরি পোশাক ‘সোয়েটশপ ফ্রি।’ অর্থাৎ ‘‘ঘর্মাক্ত শ্রমিক নির্ভর কারখানামুক্ত’’।  গত ৭ই আগস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় হিথার সল লিখেছেন, আমেরিকান অ্যাপারেল তাদের ফ্যাশনের প্রচারে ‘র‌্যামপ্যান্ট সেক্সিজম’ বা ‘উচ্ছৃঙ্খল যৌনতা’ ব্যবহার করছে। সোস্যাল মিডিয়ায় এক টপলেস বাংলাদেশী মডেল এবং অপর এক মার্কিন মডেলকে পেছন দিক থেকে তার মিনিস্কার্ট তুলে দিয়ে যে আলোকচিত্র বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। নারীর শরীর এমন অমর্যাদাকর হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে টুইটার ব্যবহারকারীরা প্রতিবাদী হয়েছেন। তারা ছি ছি করেছেন।   বাংলাদেশী মডেলের পর তারা গত ৬ই আগস্ট মিনি স্কার্ট পরিহিতার ছবি কোম্পানির ইন্সট্যাগ্রাম অ্যাকাউন্ট  এবং ছোট ধরনের একটি তাদের ওয়েবসাইটে রিলিজ করেছিল। কিন্তু  তোপের মুখে ইতিমধ্যে তারা তা তুলে নিয়েছে।  লন্ডনের ডেইলি মেইল ২২ বছর বয়সী ম্যাককে অবশ্য সাহসী হিসেবে বর্ণনা করেছে। আর ম্যাকস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি একেবারেই কুণ্ঠিত নই। আমি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওভাবে পোজ দিয়েছি। আর এটা করতে পেরে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত।’ -মানবজমিন

বাংলাদেশী টপলেস তরুণীকে দিয়ে বাংলাদেশী পোশাক আমদানিকারকদের অপদস্থ করতে চেয়েছে মার্কিন পোশাক নির্মাতা আমেরিকান অ্যাপারেল। তবে টপলেস হয়ে ২২ বছর বয়সী ম্যাক যে ঝড় গত মার্চে তুলেছিলেন তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পত্রপত্রিকায় এক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুণী গত ৪ মাস ধরে আলোচনায় আছেন। এ সপ্তাহে ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ বিষয়ে নতুন করে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে।

একদা ঢাকার একটি রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠা ম্যাকের নগ্ন বক্ষে লেখা হয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’।

ম্যাকের এই কাহিনী আমেরিকান অ্যাপারেলকে ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক অ্যামেরিকান অ্যাপারেল তাদের বাজারজাত করা জিন্সকে জনপ্রিয় করতেই ম্যাককে দিয়ে এ ধরনের আলোড়ন সৃষ্টিকারী উপাখ্যান তৈরি করেছে।

‘আমেরিকান অ্যাপারেল’ সাধারণত চাঞ্চল্য ও বিতর্ক সৃষ্টি করতে উন্মুখ হয়ে থাকে। ম্যাকের পরনের জিন্সটি বাংলাদেশের তৈরি ছিল না। এটি অ্যামেরিকান কোম্পানির তৈরী। তাই এই বিজ্ঞাপনচিত্রের অন্যতম টার্গেট হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি। এর থিম হচ্ছে ‘বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের গার্মেন্ট কারখানা এবং সেখানকার অনিরাপদ পরিবেশ।’

সে কারণে অনেকটা উপহাস করতেই বাংলাদেশী তরুণীকে দিয়ে তারই নগ্নবক্ষে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা হয়েছে। পোশাক বা ফ্যাশন নয়, টার্গেট হলো বাংলাদেশী রুগ্‌ন পোশাক কারখানা।

ম্যাকের বিতর্কিত আলোকচিত্রে দেখা যাচ্ছে টপলেস ম্যাক একটি জিন্স পরে আছে। কিন্তু সেই জিন্সেরও চেইন অনেকটা খোলা। তবে সেদিকের চেয়েও যাতে সবার নজর  ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ কথাটির ওপর পড়ে সে কারণেই এই যৌন আবেদনময়ী কৌশল। ছবির নিচে লেখা: ‘ম্যাক একজন মার্চেন্ডাইজার।

২০১০ সাল থেকে তিনি অ্যামেরিকান অ্যাপারেলের সঙ্গে আছেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় তার জন্ম। ম্যাক হবহু স্মরণ করতে পারেন যে তিনি তার মুসলিম রক্ষণশীল পিতা মায়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। শিশু থাকতে ঢাকার মসজিদেও তিনি গিয়েছেন।

তার বয়স যখন চার, তখন তার বাবা-মা ভাগ্যের অন্বেষণে ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যারিনা ডেল রে-তে আসেন। ঢাকা থেকে বহু দূরে শিশু ম্যাকের সামনে তখন নতুন পৃথিবী। তদুপরি তিনি তার বাবা মায়ের ধর্মবিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখেই বেড়ে ওঠেন।

তবে হাইস্কুলে প্রবেশের পরে ম্যাক অনুভব করতে শুরু করে যে, তার একটি নিজস্ব স্বকীয়তা গড়ে ওঠা উচিত। তখন থেকে ম্যাক নিজেকে ইসলামী ঐতিহ্য থেকে দূরে সরাতে থাকেন। নতুন সৃজনশীলতার সন্ধানে থাকা ম্যাক এই বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য অবলীলায় পোজ দিয়েছেন।

ম্যাক ইদানীং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চলের কিছু সাংস্কৃতিক ধারা রপ্ত করেছেন। কিন্তু নগরীর কৃত্রিম আনন্দবৃত্তের তিনি বন্দিনী হতে চান না। কেউ তাকে আমেরিকান বা বাঙালি পরিচয়ে আটকে ফেলুক সেটাও তার প্রত্যাশা নয়। কারও বর্ণনা অনুযায়ী তার জীবনের ছন্দকে তিনি লেখাতে চান না। ম্যাকের এই দৃষ্টিভঙ্গিই লস অ্যাঞ্জেলেসে তাকে আরও অনিবার্য করে তুলেছে। ক্রমশ সম্প্রসারণশীল আমেরিকান অ্যাপারেল পরিবারের তিনি এখন অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব’।

তবে ম্যাক পোজ দিয়েছেন একটি হাইওয়েস্ট জিন পরে। ওই বিজ্ঞাপন ভাষ্যের শেষ বাক্য হচ্ছে: ‘‘এই জিন্স তৈরি করেছে লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলির ২৩ জন দক্ষ কর্মী, যাদেরকে ন্যায্য মজুরি দেয়া হয়। এই কর্মীরা স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক বেনিফিট নিয়েই জীবনযাপন করেছেন।’’

উল্লেখ্য, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে আমেরিকান অ্যাপারেল সিইও ডোভ চার্নি আমেরিকার বাইরে থেকে পোশাক আমদানি করা সংক্রান্ত মার্কিন সরকারি নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।

মি. চার্নি লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘কতিপয় ফ্যাশন জায়ান্ট বাংলাদেশের মতো অবিশ্বাস্য দুরবস্থায় থাকা কারখানা থেকে পোশাক তৈরি করে এনে আমেরিকার বাজারে বিক্রি করে। এসব ব্রান্ড তৈরি হয় এমনই পরিবেশে যেখানে উলঙ্গ মানবতা হাঁপুস নয়নে কাঁদে।’

আমেরিকান অ্যাপারেল অবশ্য কেবল বাংলাদেশকেই টার্গেট করেছে তা নয়। তারা সব ধরনের বৈদেশিক উৎস থেকে পোশাক তৈরি করে আনার বিরোধী। সে কারণে তারা তাদের বিজ্ঞাপনে প্রচার করে থাকে যে, তাদের তৈরি পোশাক ‘সোয়েটশপ ফ্রি।’ অর্থাৎ ‘‘ঘর্মাক্ত শ্রমিক নির্ভর কারখানামুক্ত’’।

গত ৭ই আগস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় হিথার সল লিখেছেন, আমেরিকান অ্যাপারেল তাদের ফ্যাশনের প্রচারে ‘র‌্যামপ্যান্ট সেক্সিজম’ বা ‘উচ্ছৃঙ্খল যৌনতা’ ব্যবহার করছে। সোস্যাল মিডিয়ায় এক টপলেস বাংলাদেশী মডেল এবং অপর এক মার্কিন মডেলকে পেছন দিক থেকে তার মিনিস্কার্ট তুলে দিয়ে যে আলোকচিত্র বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। নারীর শরীর এমন অমর্যাদাকর হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে টুইটার ব্যবহারকারীরা প্রতিবাদী হয়েছেন। তারা ছি ছি করেছেন।

বাংলাদেশী মডেলের পর তারা গত ৬ই আগস্ট মিনি স্কার্ট পরিহিতার ছবি কোম্পানির ইন্সট্যাগ্রাম অ্যাকাউন্ট  এবং ছোট ধরনের একটি তাদের ওয়েবসাইটে রিলিজ করেছিল। কিন্তু  তোপের মুখে ইতিমধ্যে তারা তা তুলে নিয়েছে।

লন্ডনের ডেইলি মেইল ২২ বছর বয়সী ম্যাককে অবশ্য সাহসী হিসেবে বর্ণনা করেছে। আর ম্যাকস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি একেবারেই কুণ্ঠিত নই। আমি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওভাবে পোজ দিয়েছি। আর এটা করতে পেরে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত।’ -মানবজমিন