মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির আদেশ
|
১৪ কার্তিক ১৪২১ |
Wednesday, October 29, 2014
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার রায় দিয়েছেন ট্রাইবুনাল। আজ বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এ রায় দেয়া হয়।
এসময় নিজামীর পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবী, ধুসর হাতা কাটা কটি এবং পায়ে জুতা। তিনি একাত্তরের আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টা ৭ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ২০৪ পৃষ্টার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু হয়।
শুরুতেই ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় ছিলাম কবে রায় দিতে পারবো। এ জন্য অনেকে অনেক কথাই বলেছেন। ন্যায় বিচার ও আইনের শাসনের কথা আদালত বলতে পারেন, অন্য কেউ বলতে পারে না। আমরা টক-শো কিংবা রাস্তায় আদালতের বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারি না। মন্তব্য করার সময় আমাদেরকে জবাবদিহির কথা মনে রাখতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য থাকলেও আসামি মতিউর রহমান নিজামী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি। এ কারণে রায় পিছিয়ে চতুর্থবারের মতো অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি মতিউর রহমান নিজামীসহ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ পর্যন্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলবদর বাহিনীর দুই নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান, জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) আবুল কালাম আযাদ, বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
১৯৪৩ সালে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী নিজামী ১৯৭১ সালে নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন, বর্তমান নাম ইসলামী ছাত্রশিবির) সভাপতি ছিলেন। অভিযোগে রাষ্ট্রপক্ষ বলে, নিজামী একাত্তরের কুখ্যাত গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।