জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৮:২৭:১৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বাংলাদেশ বিমানে নিয়োগ পাচ্ছে ৩০০ নতুন কেবিন ক্রূ , ছেলেমেয়ে উভয়ই অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ❏ নভো এয়ারলাইন্সে বিনা অভিজ্ঞতায় কেবিন ক্রু (নারী ও পুরুষ উভয়ই) পদে চাকরি, যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা !

ফাঁসির রায় শুনে ‘উত্তেজিত’ মীর কাসেম যা বললেন

| ১৮ কার্তিক ১৪২১ | Sunday, November 2, 2014

Photo: ফাঁসির রায় শুনে ‘উত্তেজিত’ আল বদর প্রধান মীর কাসেম যা বললেন ▬▬>> বিস্তারিত :: sangbadkantha.com/423  মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন মীর কাসেম।  রায় ঘোষণার পর উত্তেজিত মীর কাসেম আলী আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন>> বিস্তারিত :: sangbadkantha.com/423

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন মীর কাসেম।

রায় ঘোষণার পর উত্তেজিত মীর কাসেম আলী আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন,

‘আরে শয়তান- এটি মিথ্যা ঘটনা, মিথ্যা স্বাক্ষী, কালো আইন, ফরামায়েশি রায়। সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, মিথ্যা পরাজিত হবে। শিগরই শিগগিরই…।’

তিনি আঙুল উঁচিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় এসব কথা বলতে থাকেন। তখন দায়িত্বরত পুলিশ তাকে মীর কাসেম আলীকে নিচে নামিয়ে আনে। পরে তাকে ট্রাইব্যুনাল হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে কাঠগড়ায় প্রবেশের পূর্বমুহূর্তে  তিনি হাত উঠিয়ে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত সাংবাদিক, আইনজীবীদের উদ্দেশ করে সালাম দেন।এ সময় কাঠগড়ার দিকে এগিয়ে আসেন তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম। নিচু স্বরে বাবার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। তবে তারা কী কথা বলেছেন, তা শোনা যায়নি।

এদিকে রায়ে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

তার বিরুদ্ধে আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১১ নং এবং ১২ নং অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের ১৪টি অভিযোগের আটটি সন্দেহাতীতভাবে ও দুটি আংশিক প্রমাণিত হয়েছে। ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১৩টি তে তিন বিচারক একমত হয়েছেন।মা্ত্র একটি অভিযোগে একমত হতে পারেনি তারা। এটা সংখ্যাগরিষ্টতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর ১, ৫, ৮, ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বাকি ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ আংশিক প্রমাণিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং অপর দুই সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম রায় ঘোষণার জন্য রোববার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এজলাসে আসেন। ৩৫১ পৃষ্ঠার রায়ের সার-সংক্ষেপ পড়েন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এরমধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে দেওয়া হয়।

এছাড়া, ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর; ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে সাত বছর; ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, ১০৭১ সালের ২৮ নভেম্বর শহীদ জসিমসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

১২ নম্বর অভিযোগে হয়, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। এরপর সেখান থেকে দুইজনকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়।

এটি মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর মধ্যে ১১তম রায়। ট্রাইব্যুনাল ঘোষিত মামলাগুলোর মধ্যে মীর কাসেমের মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম সবচেয়ে কম সময়ে শেষ হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেমের পক্ষে তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম, আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, শিশির মনির, আসাদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম, হায়দার আলী, তুরিন আফরোজ, মোখলেসুর রহমান বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, বিশিষ্টজনরা সেখানে  ছিলেন। এজলাস কক্ষে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মীর কাসেমের মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন ওই ট্রাইব্যুনাল। গত ৪ মে উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামাণ রাখা হয়।

মীর কাসেম আলীর পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর প্রসিকিউশনের পক্ষ হতে পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

এরআগে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তার যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে, গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষে জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ যুক্তি উপস্থাপন করেন।

যুক্তি উপস্থাপন শেষে প্রসিকিউশন দাবি করেছেন তারা মীর কাসেম আলীর অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষ দাবি করেছেন, মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রসিকিউশন তাদের অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আশা করছেন তিনি খালাস পাবেন।

গত বছরের ১৬ মে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমসহ প্রসিকিউশন টিম ১৪টি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করেন। ২৬ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়।

মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ ছাড়া বাকি সব অভিযোগে মানুষকে আটক করে নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে।

১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তর সালের ২৮ নভেম্বর শহীদ জসিমসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

১২ নম্বর অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। এরপর সেখান থেকে দুইজনকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়।

এ ছাড়া বাকি সবগুলো অভিযোগে মানুষকে আটক করে নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্ট উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাসেম আলীকে ১৪টি ঘটনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৬ মে মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগে তদন্ত চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশনে প্রতিবেদন জমা দেয়।

২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিন বিকেলে মতিঝিলের দৈনিক নয়াদিগন্ত কার্যালয়ের (দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশন) থেকে তাকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।-সময়ের কন্ঠস্বর