চূড়ান্ত রায়েও বদরনেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল
|
১৯ কার্তিক ১৪২১ |
Monday, November 3, 2014
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ট বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া ১ নম্বর অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়। এছাড়া ২ ও ৭ বহাল নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়।
সোমবার কামারুজ্জামানের আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় ১ নম্বরে ছিল। গতকাল রোববার আপিলের রায়ের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত বছর ৯ মে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। সুপ্রিম কোর্টে আপিল দাখিলের পর গত ৫ জুন শুনানি শুরু হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর তা শেষ হয়।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছর ৯ মে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে বলা হয়, ‘হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তকরণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টির মধ্যে ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। যার মধ্যে অভিযোগের ৩ ও ৪ নম্বরে দুটি হত্যাকাণ্ড রয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ির সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যা ও নারী ধর্ষণ এবং গোলাম মোস্তফা তালুকদার হত্যার ঘটনায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।’
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছর ২ আগস্ট তাকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে আপিল বিভাগে কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চূড়ান্ত রায় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে তার দণ্ড কার্যকর হয়। আর সাঈদীর আপিলের রায়ে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ।-বাংলামেইল২৪