জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:৪২:৪৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বাংলাদেশ বিমানে নিয়োগ পাচ্ছে ৩০০ নতুন কেবিন ক্রূ , ছেলেমেয়ে উভয়ই অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ❏ নভো এয়ারলাইন্সে বিনা অভিজ্ঞতায় কেবিন ক্রু (নারী ও পুরুষ উভয়ই) পদে চাকরি, যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা !

‘এখন তোর আল্লাহ কোথায়?’

| ২৩ কার্তিক ১৪২১ | Friday, November 7, 2014

Photo: ‘এখন তোর আল্লাহ কোথায়?’ ▬▬>> বিস্তারিত :: sangbadkantha.com/428  সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেছেন, আমার কাছে ‘নারী-পুরুষের পর্দা’ নামক একটি বই ছিল। আমার এ বইটি দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে সভাপতির রুমে ডেকে নিয়ে বলে, তোর কাছে ইসলামী বই আছে, তুই জঙ্গি। ছাত্রীটি আরো বলেন, ওই সময় ছাত্রলীগের হলের নেতারা আমাকে বলে, তুই তো জঙ্গি, এখন তোর আল্লাহ কোথায়? তোকে বাঁচালে আমরা বাঁচাবো, তা ছাড়া কেউ বাঁচাতে পারবে না। ছাত্রীটি অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বা হলের প্রক্টর কেউই আমার কোনো কথাই শোনেন নি, তারা ছাত্রলীগ নেতাদের কথা মতোই কাজ করেছেন।  কর্তৃপক্ষের উচিত এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে উপযুক্ত প্রতিবিধান করা। কারণ, প্রকাশিত এ সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক অস্বস্তি দেখা দিচ্ছে। অনেকেই এ নিয়ে তাদের অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রুহিনা আক্তার রুবি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ও দলকানা প্রশাসনের এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী আচরণে আমরা হতভম্ব। দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে উচ্চতর শিক্ষাঙ্গনে ধর্ম-কর্ম করলে কোনো শিক্ষার্থীকে জঙ্গি আখ্যায়িত করা হয় এমন শুনিনি। সংবাদপত্রে দেখা যায়, কোনো মানুষের অপরাধ হিসেবে লেখা হচ্ছে, তার কাছে ‘ইসলামী বই’ পাওয়া গেছে। যারা নিয়মিত ‘নামাজ’ পড়ে তাদের হয়রানি ও গ্রেফতার করা হয়। যেসব মেয়ে ‘হিজাব’ পরে, যে সব ছেলে ‘দাড়ি’ রাখে তারাও নির্যাতন, অপবাদ, হয়রানি ও ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছে। এ কোন দেশে বাস করছি আমরা? এ দেশে কোটি কোটি মানুষ নামাজ পড়েন, বোরকা-হিজাব ব্যবহার করেন, কোরআন-কিতাব পড়েন, দাড়ি-টুপি ধারণ করেন, তাহলে কি এরা সবাই জঙ্গি? একজন মুসলমান কী করে এমন কথা বলতে পারে যে, এখন তোর আল্লাহ কোথায়? এ কথা তো নমরুদ-ফেরাউনের মুখেই কেবল শোভা পায়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে একমাত্র আল্লাহকেই ভয় পান বলে জোর গলায় বলেন। আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছেই তিনি মাথা নত করেন না বলে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা দেন, সেখানে তার দলীয় নেতাকর্মীরা তো দেখা যায়, আল্লাহকেও ভয় পাচ্ছেন না। তারা দম্ভ ভরে বলছেন, কোথায় তোর আল্লাহ? (নাউজুবিল্লাহ) এমন কথা কোনো মুসলমানের সন্তান কখনো বলতে পারে বলে আমি ধারণাও করতে পারি না। আমার জানা নেই এরা কোন ধর্মে বিশ্বাসী। নাকি এরা ক্ষমতার দম্ভে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। বলার সাহস পাচ্ছে, তোকে বাঁচাতেও পারি আমরা, ছাড়তেও পারি আমরা। আর কেউই কিছু পারে না। এরা কি নাস্তিক-মুরতাদ প্রজন্ম? এদের সীমা লঙ্ঘনের রাশ টেনে ধরার দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। যিনি আল্লাহকে ভয় করেন। ধর্মে বিশ্বাস করেন।   সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধর্মবিদ্বেষী নানা চক্রের দাপটে অস্থির। বিভিন্ন মঞ্চ থেকে চালান দেয়া শয়তান, প্রেত ও চ-ালের আখড়া হতে আর বাকি নেই। দুনিয়ার এমন কোন পংকিলতা, অন্যায়, দুর্নীতি ও পাপাচার নেই যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হয় না। কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি ও ধর্মদ্রোহিতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত। কিন্তু যত বাধা সব কেবল ইসলামের বেলায়। আমাদের কাছে খবর আছে যে, জেনা-ব্যভিচার, বিবাহবহির্ভূত যৌনতা, কলগার্ল, নাইট ক্লাব, মাদক ব্যবহার, ইত্যাদি নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। যত ষড়যন্ত্র সব নামাজ, কোরআন পাঠ, বোরকা, হিজাব, দাড়ি, টুপি ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা নিয়ে। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার মসনদ নিষ্কণ্টক রাখার জন্য কেউ আইনগত পদক্ষেপ নিতেই পারে। নিষিদ্ধ সংগঠন ও জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানও চালাতে পারে, কিন্তু তাই বলে ইসলামী বই-পুস্তক, নামাজ-রোজা, তিলাওয়াত-জিকির, দাড়ি-টুপি, পর্দা-হিজাব দেখলেই হামলা, নির্যাতন, অপবাদ, দুর্ব্যবহার, শাস্তি; এ সব কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। জামায়াত-শিবির যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলেই কেবল তাদের দলীয় বই-পুস্তক পড়া বেআইনি হতে পারে। হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ বলে এর লিটারেচারও নিষিদ্ধ গণ্য হতে পারে। কিন্তু পবিত্র কোরআন, হাদিসগ্রন্থ, মাসআলা-মাসায়েল, ইসলামী জ্ঞান ও সাহিত্যের বইপত্র কেন নিষিদ্ধ হবে? বাংলাদেশে কোন ঘরটি পাওয়া যাবে যেখানে কোনো ইসলামী বই নেই? মার্কামারা নাস্তিক-মুরতাদ ও ধর্মদ্রোহী বেঈমান ছাড়া সবাই ইসলামী বই ঘরে রাখে। বহু হিন্দু সহকর্মীকে জানি যারা তাদের ঘরে পবিত্র কোরআনের বঙ্গানুবাদ, কবি গোলাম মোস্তফা রচিত ‘বিশ্বনবী (সা.)’ ও অন্যান্য ইসলামী বইপত্র রাখেন। অনেক বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ব্যক্তিও ইসলামী গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করেন। বাংলাদেশে কে কখন ইসলামী বইপত্র ও কোরআন-হাদিস নিষিদ্ধ করল তা তো আমরা শুনতে পেলাম না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিনীতভাবে বলতে চাই, পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের নব-জাগরণের যুগে ঢাকার নবাবদের জায়গায় তাদের অর্থানুকূল্যে, ধনবাড়ির জমিদার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হতো মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়। মুসলমানের পয়সায় পরিচালিত প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে ইসলাম নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, এ বিষয়টি এ দেশের ৯২ ভাগ মানুষ কিছুতেই মেনে নেবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নাস্তিক, মুরতাদ, ধর্মহীন অপশক্তির আস্তানায় পরিণত হতে দেবে না। ক্ষমতার পোঁ ধরা গোষ্ঠী রাজনীতি করুক তবে ইসলাম ও মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে টানাটানি করা তাদের পক্ষে ঠিক হবে না। আল্লাহ-রাসূল, ঈমান-ইসলাম, নামাজ বন্দেগি, বোরকা-হিজাব, টুপি-দাড়ি ও কোরআন-কিতাব নিয়ে খেলা করার অধিকার এ দেশের মানুষ কোনো বেয়াদবকে দেয়নি। ধর্মপ্রাণ প্রধানমন্ত্রী তার সমর্থকদের বাড়াবাড়ি থেকে নিবৃত্ত করুন। মূলদল, অঙ্গদল ও সমর্থক গোষ্ঠীর ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা মুরতাদদের বহিষ্কারসহ উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করুন। বাম শক্তির খপ্পর থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচান। নয়ত আল্লাহর গজব থেকে কেউই রেহাই পাবেন না।   রাজধানীর বায়তুন নুর রাহমানিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুফিজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘদিন যাবতই আমরা বলে এসেছি যে, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেয়ার মন্দ প্রভাব রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের ওপর পড়তে শুরু করেছে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কথায় কথায় যারা ‘অসাম্প্রদায়িক দেশ’ বানানোর কথা বলে, তারা আসলে কী চায় সেটাই এখন প্রশ্ন। অসাম্প্রদায়িক দেশ হলে তো হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের মতো মুসলমানদেরও ধর্মীয় অধিকার নিয়েই বসবাস করার কথা; কিন্তু নামাজ, রোজা, পর্দা, ইসলামী বই, টুপি, দাড়ি নিয়ে নির্ভয়ে চলা যাবে না। কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন না করেও কেবল নিয়মিত নামাজ পড়লে ছাত্রনামধারী গু-ারা ধরে নিয়ে যাবে। ইসলামী বই হাতে পেলেই মারধর করবে। সরকারদলীয় লোকজন রাতজেগে পাহারা দেবে, তাহাজ্জুদ নামাজ বা ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে মারপিট ও গালাগাল করার জন্য। কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওসব ছাত্রনামধারী উগ্র লোকেদের কথা মতো চলবে। এমনকি তারা ‘তোর আল্লাহ এখন কোথায়’ জাতীয় ফেরাউনি বাক্য উচ্চারণ করবে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ এখনও এতটা মগের মুল্লুক হয়ে যায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের আস্থা রেখেই বলতে চাই, তিনি তার সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মধ্যকার সীমালঙ্ঘনকারীদের সংশোধনে এগিয়ে আসবেন। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেবেন। ইসলাম ও মুসলমানবিদ্বেষী চক্রটির বাড়বাড়ন্ত খর্ব করবেন। নতুবা আল্লাহর গজব থেকে আমরা কেউই রেহাই পাব না।  মুফতি মুফিজুল ইসলাম আরো বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রতিটি আলেম, ইমাম, খতিব, পীর-মাশায়েখ, সচেতন মুসলমান ভাই ও বোনকে বলতে চাই, সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিবাদের খোদায়ী বিধানের ওপর আমল করুন। ধর্মীয় অধিকার রক্ষার কাজে সোচ্চার হোন। ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হোন। ইসলাম ও ঈমানবিরোধী প্রতিটি সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। সরকারের নিকট এসবের প্রতিকার কামনা করে আওয়াজ তুলুন। জুমার আলোচনায়, মাহফিলের বয়ানে, দোয়া ও মুনাজাতে মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে কথা বলুন। যদি মুসলমানরা সচেতন থাকেন তাহলে ধর্মহীনতার ধ্বজাধারীরা বাংলাদেশকে ইসলামশূন্য করার ষড়যন্ত্রে সফল হবে না। আর যদি আমরা ঘুমিয়ে থাকি তাহলে জাতির কপালে নেমে আসা কঠিন আজাব-গজব ও মারাত্মক দুর্দশা থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাব না। - ইনকিলাব

সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেছেন, আমার কাছে ‘নারী-পুরুষের পর্দা’ নামক একটি বই ছিল। আমার এ বইটি দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে সভাপতির রুমে ডেকে নিয়ে বলে, তোর কাছে ইসলামী বই আছে, তুই জঙ্গি। ছাত্রীটি আরো বলেন, ওই সময় ছাত্রলীগের হলের নেতারা আমাকে বলে, তুই তো জঙ্গি, এখন তোর আল্লাহ কোথায়? তোকে বাঁচালে আমরা বাঁচাবো, তা ছাড়া কেউ বাঁচাতে পারবে না। ছাত্রীটি অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বা হলের প্রক্টর কেউই আমার কোনো কথাই শোনেন নি, তারা ছাত্রলীগ নেতাদের কথা মতোই কাজ করেছেন।

কর্তৃপক্ষের উচিত এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে উপযুক্ত প্রতিবিধান করা। কারণ, প্রকাশিত এ সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক অস্বস্তি দেখা দিচ্ছে। অনেকেই এ নিয়ে তাদের অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রুহিনা আক্তার রুবি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ও দলকানা প্রশাসনের এ ধরনের ধর্মবিদ্বেষী আচরণে আমরা হতভম্ব। দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে উচ্চতর শিক্ষাঙ্গনে ধর্ম-কর্ম করলে কোনো শিক্ষার্থীকে জঙ্গি আখ্যায়িত করা হয় এমন শুনিনি। সংবাদপত্রে দেখা যায়, কোনো মানুষের অপরাধ হিসেবে লেখা হচ্ছে, তার কাছে ‘ইসলামী বই’ পাওয়া গেছে। যারা নিয়মিত ‘নামাজ’ পড়ে তাদের হয়রানি ও গ্রেফতার করা হয়। যেসব মেয়ে ‘হিজাব’ পরে, যে সব ছেলে ‘দাড়ি’ রাখে তারাও নির্যাতন, অপবাদ, হয়রানি ও ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছে। এ কোন দেশে বাস করছি আমরা? এ দেশে কোটি কোটি মানুষ নামাজ পড়েন, বোরকা-হিজাব ব্যবহার করেন, কোরআন-কিতাব পড়েন, দাড়ি-টুপি ধারণ করেন, তাহলে কি এরা সবাই জঙ্গি? একজন মুসলমান কী করে এমন কথা বলতে পারে যে, এখন তোর আল্লাহ কোথায়? এ কথা তো নমরুদ-ফেরাউনের মুখেই কেবল শোভা পায়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে একমাত্র আল্লাহকেই ভয় পান বলে জোর গলায় বলেন। আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছেই তিনি মাথা নত করেন না বলে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা দেন, সেখানে তার দলীয় নেতাকর্মীরা তো দেখা যায়, আল্লাহকেও ভয় পাচ্ছেন না। তারা দম্ভ ভরে বলছেন, কোথায় তোর আল্লাহ? (নাউজুবিল্লাহ) এমন কথা কোনো মুসলমানের সন্তান কখনো বলতে পারে বলে আমি ধারণাও করতে পারি না। আমার জানা নেই এরা কোন ধর্মে বিশ্বাসী। নাকি এরা ক্ষমতার দম্ভে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। বলার সাহস পাচ্ছে, তোকে বাঁচাতেও পারি আমরা, ছাড়তেও পারি আমরা। আর কেউই কিছু পারে না। এরা কি নাস্তিক-মুরতাদ প্রজন্ম? এদের সীমা লঙ্ঘনের রাশ টেনে ধরার দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। যিনি আল্লাহকে ভয় করেন। ধর্মে বিশ্বাস করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধর্মবিদ্বেষী নানা চক্রের দাপটে অস্থির। বিভিন্ন মঞ্চ থেকে চালান দেয়া শয়তান, প্রেত ও চ-ালের আখড়া হতে আর বাকি নেই। দুনিয়ার এমন কোন পংকিলতা, অন্যায়, দুর্নীতি ও পাপাচার নেই যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হয় না। কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি ও ধর্মদ্রোহিতার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত। কিন্তু যত বাধা সব কেবল ইসলামের বেলায়। আমাদের কাছে খবর আছে যে, জেনা-ব্যভিচার, বিবাহবহির্ভূত যৌনতা, কলগার্ল, নাইট ক্লাব, মাদক ব্যবহার, ইত্যাদি নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। যত ষড়যন্ত্র সব নামাজ, কোরআন পাঠ, বোরকা, হিজাব, দাড়ি, টুপি ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চা নিয়ে। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার মসনদ নিষ্কণ্টক রাখার জন্য কেউ আইনগত পদক্ষেপ নিতেই পারে। নিষিদ্ধ সংগঠন ও জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানও চালাতে পারে, কিন্তু তাই বলে ইসলামী বই-পুস্তক, নামাজ-রোজা, তিলাওয়াত-জিকির, দাড়ি-টুপি, পর্দা-হিজাব দেখলেই হামলা, নির্যাতন, অপবাদ, দুর্ব্যবহার, শাস্তি; এ সব কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। জামায়াত-শিবির যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলেই কেবল তাদের দলীয় বই-পুস্তক পড়া বেআইনি হতে পারে। হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ বলে এর লিটারেচারও নিষিদ্ধ গণ্য হতে পারে। কিন্তু পবিত্র কোরআন, হাদিসগ্রন্থ, মাসআলা-মাসায়েল, ইসলামী জ্ঞান ও সাহিত্যের বইপত্র কেন নিষিদ্ধ হবে? বাংলাদেশে কোন ঘরটি পাওয়া যাবে যেখানে কোনো ইসলামী বই নেই? মার্কামারা নাস্তিক-মুরতাদ ও ধর্মদ্রোহী বেঈমান ছাড়া সবাই ইসলামী বই ঘরে রাখে। বহু হিন্দু সহকর্মীকে জানি যারা তাদের ঘরে পবিত্র কোরআনের বঙ্গানুবাদ, কবি গোলাম মোস্তফা রচিত ‘বিশ্বনবী (সা.)’ ও অন্যান্য ইসলামী বইপত্র রাখেন। অনেক বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ব্যক্তিও ইসলামী গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করেন। বাংলাদেশে কে কখন ইসলামী বইপত্র ও কোরআন-হাদিস নিষিদ্ধ করল তা তো আমরা শুনতে পেলাম না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিনীতভাবে বলতে চাই, পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের নব-জাগরণের যুগে ঢাকার নবাবদের জায়গায় তাদের অর্থানুকূল্যে, ধনবাড়ির জমিদার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হতো মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়। মুসলমানের পয়সায় পরিচালিত প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে ইসলাম নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, এ বিষয়টি  এ দেশের ৯২ ভাগ মানুষ কিছুতেই মেনে নেবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নাস্তিক, মুরতাদ, ধর্মহীন অপশক্তির আস্তানায় পরিণত হতে দেবে না। ক্ষমতার পোঁ ধরা গোষ্ঠী রাজনীতি করুক তবে ইসলাম ও মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে টানাটানি করা তাদের পক্ষে ঠিক হবে না। আল্লাহ-রাসূল, ঈমান-ইসলাম, নামাজ বন্দেগি, বোরকা-হিজাব, টুপি-দাড়ি ও কোরআন-কিতাব নিয়ে খেলা করার অধিকার এ দেশের মানুষ কোনো বেয়াদবকে দেয়নি। ধর্মপ্রাণ প্রধানমন্ত্রী তার সমর্থকদের বাড়াবাড়ি থেকে নিবৃত্ত করুন। মূলদল, অঙ্গদল ও সমর্থক গোষ্ঠীর ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা মুরতাদদের বহিষ্কারসহ উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করুন। বাম শক্তির খপ্পর থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচান। নয়ত আল্লাহর গজব থেকে কেউই রেহাই পাবেন না।

রাজধানীর বায়তুন নুর রাহমানিয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুফিজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘদিন যাবতই আমরা বলে এসেছি যে, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেয়ার মন্দ প্রভাব রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের ওপর পড়তে শুরু করেছে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কথায় কথায় যারা ‘অসাম্প্রদায়িক দেশ’ বানানোর কথা বলে, তারা আসলে কী চায় সেটাই এখন প্রশ্ন। অসাম্প্রদায়িক দেশ হলে তো হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের মতো মুসলমানদেরও ধর্মীয় অধিকার নিয়েই বসবাস করার কথা; কিন্তু নামাজ, রোজা, পর্দা, ইসলামী বই, টুপি, দাড়ি নিয়ে নির্ভয়ে চলা যাবে না। কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন না করেও কেবল নিয়মিত নামাজ পড়লে ছাত্রনামধারী গু-ারা ধরে নিয়ে যাবে। ইসলামী বই হাতে পেলেই মারধর করবে। সরকারদলীয় লোকজন রাতজেগে পাহারা দেবে, তাহাজ্জুদ নামাজ বা ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে মারপিট ও গালাগাল করার জন্য। কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওসব ছাত্রনামধারী উগ্র লোকেদের কথা মতো চলবে। এমনকি তারা ‘তোর আল্লাহ এখন কোথায়’ জাতীয় ফেরাউনি বাক্য উচ্চারণ করবে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ এখনও এতটা মগের মুল্লুক হয়ে যায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের আস্থা রেখেই বলতে চাই, তিনি তার সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মধ্যকার সীমালঙ্ঘনকারীদের সংশোধনে এগিয়ে আসবেন। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেবেন। ইসলাম ও মুসলমানবিদ্বেষী চক্রটির বাড়বাড়ন্ত খর্ব করবেন। নতুবা আল্লাহর গজব থেকে আমরা কেউই রেহাই পাব না।

মুফতি মুফিজুল ইসলাম আরো বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রতিটি আলেম, ইমাম, খতিব, পীর-মাশায়েখ, সচেতন মুসলমান ভাই ও বোনকে বলতে চাই, সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিবাদের খোদায়ী বিধানের ওপর আমল করুন। ধর্মীয় অধিকার রক্ষার কাজে সোচ্চার হোন। ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হোন। ইসলাম ও ঈমানবিরোধী প্রতিটি সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। সরকারের নিকট এসবের প্রতিকার কামনা করে আওয়াজ তুলুন। জুমার আলোচনায়, মাহফিলের বয়ানে, দোয়া ও মুনাজাতে মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে কথা বলুন। যদি মুসলমানরা সচেতন থাকেন তাহলে ধর্মহীনতার ধ্বজাধারীরা বাংলাদেশকে ইসলামশূন্য করার ষড়যন্ত্রে সফল হবে না। আর যদি আমরা ঘুমিয়ে থাকি তাহলে জাতির কপালে নেমে আসা কঠিন আজাব-গজব ও মারাত্মক দুর্দশা থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাব না। - ইনকিলাব