জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:১৮:৪৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বাংলাদেশ বিমানে নিয়োগ পাচ্ছে ৩০০ নতুন কেবিন ক্রূ , ছেলেমেয়ে উভয়ই অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ❏ নভো এয়ারলাইন্সে বিনা অভিজ্ঞতায় কেবিন ক্রু (নারী ও পুরুষ উভয়ই) পদে চাকরি, যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা !

তাহের সফল হলে জিয়ার কি পরিণতি হতো?

| ২৯ কার্তিক ১৪২১ | Thursday, November 13, 2014

Photo: তাহের সফল হলে জিয়ার কি পরিণতি হতো? ▬▬>> বিস্তারিত :: sangbadkantha.com/436  সেটা ছিল ক্ষমতার লড়াই। তাহের জিয়াকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। জিয়া তাহেরকে ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। এখানে জিয়া সফল আর তাহের ব্যর্থ হন। তাহের যদি সফল হতেন তবে জিয়ার কি পরিণতি হতো? যে মুহূর্তে জিয়া সিদ্ধান্ত দিলেন তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাইরে যাবেন না সে মুহূর্তে তাহেরের বিপ্লব শেষ হয়ে যায়। একমাত্র জিয়াউদ্দিন ছাড়া উচ্চপদস্থ কোন সেনা কর্মকর্তাই তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেননি>> বিস্তারিত :: sangbadkantha.com/436

সেটা ছিল ক্ষমতার লড়াই। তাহের জিয়াকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। জিয়া তাহেরকে ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। এখানে জিয়া সফল আর তাহের ব্যর্থ হন। তাহের যদি সফল হতেন তবে জিয়ার কি পরিণতি হতো? যে মুহূর্তে জিয়া সিদ্ধান্ত দিলেন তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাইরে যাবেন না সে মুহূর্তে তাহেরের বিপ্লব শেষ হয়ে যায়। একমাত্র জিয়াউদ্দিন ছাড়া উচ্চপদস্থ কোন সেনা কর্মকর্তাই তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেননি।

একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন লেখক, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার ধানমন্ডির বাসায় দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ শীর্ষক গ্রন্থের লেখক খোলামেলা কথা বলেছেন ইতিহাসের একটি বিশেষ সময়ের ব্যাপারে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখনও কর্নেল তাহেরের ভূমিকার কোন নিন্দা করেনি। বরং আমরা দেখি জিয়ার বিরুদ্ধে তাহেরকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ। তার কাছে প্রশ্ন ছিল- মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানিরা পরবর্তী সময়ে নিজেদের মধ্যে কেন রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন? জবাবে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, উনারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। সেক্টর কমান্ডাররা মনে করতেন, বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব কোন যুদ্ধ করেননি। তাহলে তারা কেন সুফল ভোগ করবেন?

অন্যদিকে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব মনে করতেন, সেনা কর্মকর্তারা বিশেষ পরিস্থিতিতে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সত্য হচ্ছে, সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবস্থান ছিল ভারতে। সাধারণ জনগণই আসলে যুদ্ধ করেছিল। যদিও গ্রামগুলো আসলে প্রায় সবসময়ই মুক্ত ছিল। পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান ছিল শহরে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় সফলতা ছিল তারা পাকিস্তানি সেনাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে সক্ষম  হয়েছিলেন। এ কারণে যৌথ বাহিনী খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সফলতা পায়। ১৫ই আগস্টের মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন স্বল্প সংখ্যক সেনা সদস্য। কিন্তু অল্প কিছু সেনা কর্মকর্তা ব্যতীত অন্যদেরও এতে সমর্থন ছিল। তারা সেটা জানতেনও। শুধু দু’টি ব্যাপারেই তারা নিশ্চিত ছিলেন না- ঘটনাটা ঠিক কবে ঘটবে এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে কিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লাশ ৩২ ঘণ্টা ৩২ নাম্বারে পড়ে ছিল। কোন বীর উত্তম কিন্তু সেখানে যাননি। বীর উত্তমরা সব তখন রেডিও স্টেশনে। তিনি বলেন, ১৫ই আগস্ট কর্নেল তাহের রেডিও স্টেশনে গেছেন, বঙ্গভবনে গেছেন। পরে তাহের বলেছেন, তিনি রশীদের অনুরোধে রেডিও স্টেশনেও যান। তার এসব কার্যক্রম প্রমাণ করে আগস্টের হত্যাকাণ্ড তিনি সমর্থন করেছেন। আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তো এ ব্যাপারে রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলবো না। আমাকে কথা বলতে হবে গবেষক হিসেবে। রাজনীতিবিদরা একটি সূত্রে বলেন, ফারুক জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, স্যার একটা কিছু করেন। কিন্তু শাফায়াত জামিলের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায় জিয়াকে যখন প্রথম বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা জানানো হয়, তিনি বলেছিলেন, সো হোয়াট? ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়েছেন। সংবিধান রক্ষা করতে হবে। তখন তো ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সংবিধান অনুযায়ী তারই তো প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা। কিন্তু তাকে তো প্রেসিডেন্ট করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট হলেন খোন্দকার মোশ্‌তাক।

এখন জিয়াকে যদি আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়াতে হয় তাহলে তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে হবে। তিনি বলেন, জিয়া যদি বিএনপি তৈরি না করতেন, বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী না হতো তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগ জিয়া সম্পর্কে এখন যেভাবে বলে সেভাবে বলতো না। তবে আগস্ট অভ্যুত্থানের পরও সেনাবাহিনীতে অসন্তোষ থেকে যায়। কারণ সেনা কর্মকর্তারা দেখলেন, এটা কোন সেনা শাসন হয়নি। খোন্দকার মোশ্‌তাকের নেতৃত্বে এক ধরনের আওয়ামী শাসনই থেকে যায়। জিয়াউর রহমানও খোন্দকার মোশ্‌তাকের ওপর অখুশি ছিলেন। কারণ জিয়াউর রহমানের উপরে আরও দুই জনকে বসানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে ২রা নভেম্বর এসে যায়। খালেদ মোশাররফ, শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়। সেনাপ্রধান জিয়াকে বন্দি করা হয় তার বাসভবনে। যদিও কেউ কেউ সন্দেহ করেন এটা সাজানোও হতে পারে। কারণ তার বাসার টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। তাকে যারা পাহারা দিয়ে রেখেছিলেন তাদের অনেকে ছিলেন জিয়ার লোক। বিচারপতি সায়েমকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সেনাপ্রধান হন খালেদ মোশাররফ। জিয়াকে সামনে রেখে অভ্যুত্থানের প্রস্তাব করেন কর্নেল তাহের। জাসদের কেউ কেউ এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলগতভাবে জাসদ এর বিরোধিতা না করে অনুমোদন করে। কিন্তু তাহের আর জিয়ার মধ্যে কি সমীকরণ ছিল তা তো তারা জানতেন না। ৬ই নভেম্বর রাত ২ থেকে ২.৩০ মিনিটের দিকে জিয়াকে মুক্ত করা হয়। তবে সৈনিক সংস্থার লোক ছাড়াও জিয়ার অনেক সমর্থক ছিল, রশীদ-ফারুকের লোক ছিল। এরই মধ্যে হত্যা করা হয় খালেদ মোশাররফ, হায়দার এবং হুদাকে। তবে কারা তাদের হত্যা করেছে তা বলা মুশকিল। বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সত্য বের হয়ে আসা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তাহের চেয়েছিলেন জিয়াকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যেতে। সেখানে একটি ভাষণ দেয়ার পর তাকে শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু জিয়ার ক্ষমতার ভিত্তি ছিল ক্যান্টনমেন্ট। আর রেডিও স্টেশন ছিল তাহেরের অনুগতের নিয়ন্ত্রণে। এ কারণে জিয়া তার ক্ষমতার কেন্দ্র ছেড়ে যেতে রাজি হননি। মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ইদানীং দেখা যাচ্ছে অনেকে তাজউদ্দীন আহমদকে বঙ্গবন্ধুর চেয়েও বড় করে দেখাচ্ছেন। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ইতিহাসে দুই জনের অবস্থান আলাদা। ইতিহাস তাদের প্রাপ্য স্বীকৃতি দেবে।-মানবজমিন