কালো তেলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হয়নি
|
২৯ অগ্রহায়ন ১৪২১ |
Saturday, December 13, 2014
ছড়িয়ে যাওয়া কালো তেলের প্রভাবে সুন্দরবনের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
দেশের ও বিশ্ব গণমাধ্যমে যখন সুন্দরবনের প্রাণী ও উদ্ভিদের ব্যাপক ক্ষতির সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে, প্রতিবেশী ভারত ও জাতিসংঘ যখন বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন, ঠিক সেই মুহূর্তেই শনিবার দুপুর একটায় সুন্দরবনের শ্যালা নদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এ ধরনের কথা বললেন।
একইসঙ্গে তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে শ্যালা নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার কারণে মংলা বন্দর ব্যবহারকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বক্তব্যে তিনি সুন্দরবনের চেয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বার্থের কথাই বেশি বলেন।
শাজাহান খান বলেন, ‘সনাতন পদ্ধতিতে সুন্দরবনের শ্যালা নদী ও খালের ভাসমান তেল সংগ্রহের পর রাসায়নিক তরল পদার্থ ব্যবহার করা হবে। কালো তেলের প্রভাবে সুন্দরবনের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘রাসায়নিক তরল পদার্থ অপসারণে বিদেশি একটি কোম্পানি সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে শ্যালা নদীতে যান চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে মংলা বন্দরে। কার্গো, কোস্টার সঙ্কটে বন্দরের পণ্যবোঝই ও খালাস ব্যাহত হচ্ছে। মংলার সঙ্গে সারাদেশের নৌ-যোগাযোগও ব্যাহত হচ্ছে। শেলা নদীর শরণখোলা এলাকায় আটকে পড়েছে পণ্যবাহী নৌযান। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্দর ব্যবহারকারীরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মংলা বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চল সচল রাখতে আগামীকাল রোববার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই শর্ত সাপেক্ষে নৌ-চলাচলের অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।’
এছাড়া দুই জাহাজ মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।-বাংলামেইল২৪ডটকম