সংবাদ কণ্ঠ

রুবেলকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেবার দাবী নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাসের

নাজনীন আক্তার হ্যাপি একজন অভিনেত্রী । তিনি বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করেছেন। তাই বলে কি তিনি কাউকে ভালোবাসার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন? তার কি বিয়ে হতে পারে না? সবার মতো হ্যাপিও স্বপ্ন দেখেছেন ভালোবেসে ঘর বাঁধার। সেই স্বপ্নই হ্যাপির জন্য এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে নিয়ে গেছে অন্ধকারে।

হ্যাপি ভালোবেসেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনকে। ফেসবুকে পরিচয় হলেও এক সময় তাদের মধ্যে তৈরি হয় ভালোবাসার সম্পর্ক। তা দিনে দিনে ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়। এক পর্যায়ে হ্যাপি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন রুবেলকে। তবে নানা টালবাহানায় হ্যাপিকে বারবার এড়িয়ে গেছেন রুবেল। আগে ক্যারিয়ার গুছিয়ে নেবেন, তারপর বিয়ে হবে তাদের, এমনটাই কথা দিয়েছেন রুবেল।

তবে সবশেষে প্রশ্ন দাঁড়ায় হ্যাপির অভিনয় জগতে কাজ করা নিয়ে। মিডিয়ায় কাজ করে বলে তাকে অপবাদ দেওয়া হয় খারাপ বলে। তবুও হ্যাপি ভালোবাসার মানুষকে আপন করে পেতে এ অপবাদকে মেনে নিয়েছেন। হ্যাপি নিজের সব হারিয়ে শেষ পর্যন্ত থানায় মামলা করেন। তার এ বির্সজন সত্ত্বেও এখন হ্যাপিকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানান প্রশ্নের।

‘মিডিয়ার মেয়েরা খারাপ হয়। তাদের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না।’ আসলেই কি মেয়েরা ।মিডিয়ায় কাজ করলে খারাপ হয়ে যান? হ্যাপি প্রসঙ্গে অনেকেই এ কথার পক্ষেই বলছেন। তবে এমন অভিযোগকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন দেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা-দেবাশীষ বিশ্বাস।

নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি মনে করি রুবেলকে শুধু জাতীয় দল থেকে বাদ দিলেই হবে না, তাকে এ জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ‘মিডিয়ার মেয়ে’ কথাটার মানে কি? সেতো মেয়ে। মাওতো মেয়ে, বোনওতো মেয়ে। মিডিয়ার মেয়ে কি একটা গালি? হ্যাপি মেয়ে বলে ওকে নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি করছে সবাই। তাদের যে ঘনিষ্ঠতা হয়েছে তাতো দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে। রুবেল এটাকে শুধু সর্ম্পকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছে। আর হ্যাপি চেয়েছে বিয়েতে গড়াতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাপির সঙ্গে আমিও বলছি, রুবেলের বিচার চাই। হ্যাপি মিডিয়ায় কাজ করে বলে বলছি না। হ্যাপি একজন মেয়ে, সে মায়ের জাত বলেই আমি ওর সঙ্গে একমত পোষণ করছি। একটা মেয়ে কখন ব্যক্তিগত বিষয়কে সবার সামনে আনে? যখন তার আর কিছু করার থাকে না, তখনই শুধু সে মুখ খুলতে বাধ্য হয়।’ -রাইজিংবিডি