জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:২৭:২৮

ফেইসবুকে বয়ফ্রেন্ড’র নগ্ন ছবি পোস্ট করে টাকা দাবি তরুণীর

| ২৯ শ্রাবণ ১৪২১ | Wednesday, August 13, 2014

Photo

এ যেন উল্টো গল্প !

পুরুষ বন্ধু চাহিদামতো জিনিস ও টাকা না দেওয়ায়, তাঁর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করল এক তরুণী৷ শুধু তাই নয়, ছেলেটির ছবি দিয়ে ‘ফেক প্রোফাইল’ তৈরি করে লিখে দিল ‘আই অ্যাম গে৷ আই অ্যাম ইণ্টেরেস্টেড ইন ম্যান৷’ ঘটনাটি লখনউয়ের৷

অভিযোগকারী দেবেশ শর্মা এক তরুণ উদ্যোক্তা ৷ দেবেশ প্রথমে বিষয়টি সাইবার সেলে জানিয়েছিলেন৷ সেখানকার কর্মীরা  বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন৷ তাঁরা বলেন, মেয়ের নাম দিয়ে হয়তো কোনও ছেলেই এই কাণ্ড করেছে৷এরপর স্হানীয় থানায় অভিযোগ জানান দেবেশ৷ সবটা শুনে পুলিশ হকচকিয়ে গেলেও তাঁরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে৷ তখনই জানা যায় কাজটি করেছে মানকনগরের এক তরুণী৷

ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে৷ ফেসবুকেই ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় দেবেশ শর্মার৷ ওই তরুণী তাঁকে অনুরোধ করে তার.  ২৩ বছরের দিদিকে চাকরির বন্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য৷ দেবেশ রাজিও হন৷ ফেসবুকের সূত্র ধরে ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয়৷ তরুণী দেবেশকে জানায়,  সে স্কুলের পাঠ শেষ করে উত্তরপ্রদেশে এসছে৷ লখনউ শহর ঘুরে দেখার তার ইচেছ৷ প্রথম প্রথম বিষয়টা ঠিকই ছিল৷ ৩  আগস্ট ফ্রেণ্ডশিপ ডে তে ওই তরুণীকে একটি পার্টিতেও নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল দেবেশের৷ কিন্তু ওই দিন সকালেই মেয়েটি দেবেশের কাছে সাড়ে চার হাজার টাকার ব্যাগ ও ন’হাজার টাকার মিনি স্কার্ট কিনে দেওয়ার বায়না ধরে ৷ তখনই ‘ডেটিং’ ক্যানসেল করে দেন দেবেশ৷

৪ আগস্ট মেয়েটি দেবেশকে ১০০ বার ফোন ও ৫০ টি মেসেজ পাঠায় বলে অভিযোগ৷ হুমকি দিয়ে তাঁকে লেখা হয়েছিল, এর ফল ভাল হবে না৷ দেবেশ জানান, ‘আমি ওকে উপেক্ষা করতে শুরু করি৷ তারপর একদিন দেখি আমার নামে ফেসবুকে একটি প্রোফাইল৷ তাতে আমার সুপার ইমপোজ করা নগ্ন, অশালীন ছবি৷’ এরপর ফোন করে দেবেশের কাছে চার লাখ টাকা দাবি করে ওই তরুণী৷  টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়,  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট নম্বর দিয়ে ২০ হাজার টাকা জমা করতে বলে ওই তরুণী৷ দেবেশ জানান, ‘আমি ওই অ্যাকাউণ্ট নম্বরটা পুলিশকে দিই৷’

পুলিশ হস্তক্ষেপ করার পর অবশ্য বিপদ বুঝে মেয়েটি ফোনে ক্ষমা চায়৷ পুলিশ জানিয়েছে,  দেবেশ শর্মা এফআইআর করেননি৷ তিনি লিখিত অভিযোগ করলে মেয়েটির বিরু‌দ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ দেবেশ জানান, তিনি যে ভাবে মেয়েটির কবলে পড়েছিলেন, অন্য কেউ যাতে প্রতারিত না হয়, সে কারণে তিনি আইনের পথেই হাঁটবেন৷