একজন হামিদুর আমাদের আশাবাদী করে তোলে
|
১৮ ভাদ্র ১৪২১ |
Tuesday, September 2, 2014
বৃষ্টির মাঝে রিক্সা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। বসুন্ধরায় যেতে কেউ রাজি না। হঠাৎ খুব শুদ্ধ উচ্চারণে এই ছেলেটি বলল - স্যার চলেন।
রিক্সা চলছে … চালানোর ধরন দেখে জিজ্ঞাস করলাম নতুন নাকি ?
- জ্বি
কতদিন ধরে ?
-গত দুই মাস।
কি নাম ?
-হামিদুর।
পড়াশোনা কিছু করেছ ?
-আরবী ল়াইনে ক্লাস নাইনে পড়ছি।
রিক্সা চালাছো কেন ?
-কৃষক বাবা’র চিকিৎসার খরচ যোগানোর জন্য চালাচ্ছি।
তাতে তোমার পড়াশোনার ক্ষতি হবে।
-আমিই পরিবারের বড় ছেলে। আমি দায়িত্ব না নিলে কে নিবে ?
পাল্টা প্রশ্নে আমি কিছুটা বিব্রত। এতটুকুন বয়সে কত দায়িত্ব বোধ !
এই রাষ্ট্র কিংবা সমাজ যখন তার দায়িত্ব নেবার কথা , উল্টো সে পুরা পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে !
অথচ এই সমাজেরই একজন ঐশী’র মান্থলি হাত খরচ অর্ধ লক্ষ টাকা।
হে ধানমন্ডি , গুলশান , বনানীর অভিভাবকগণ ! আপনাদের সন্তানদের মধ্যে কি এই ধরনের দায়িত্ব বোধ আছে ? শুধু পড়াশোনা জন্য খরচ না করে দায়িত্ব বোধ শিখানোর জন্য কিছুটা ব্যয় করুন। কাজে লাগবে।
হামিদুর’রা আছে বলে এই দেশ নিয়ে এখনো নিরাশ হবার সময় আসেনি। হামিদুরদের কারণে সন্ধ্যার বৃষ্টিভেজা আকাশও উজ্জ্বল হয়ে উঠে।তার ছোট্ট রিক্সাকে হাওয়াই জাহাজ মনে হয় ! আনন্দঅশ্রু নিয়ে আমি আবার এই দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি…….
█ ফয়সল আহমেদ ( এডিটর-ইন-চিফ , সংবাদ কন্ঠ )