জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, মে ১৯, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:১০:৩৯

একজন হামিদুর আমাদের আশাবাদী করে তোলে

| ১৮ ভাদ্র ১৪২১ | Tuesday, September 2, 2014

Photo: একজন হামিদুর আমাদের আশাবাদী করে তোলে ....  ▬▬>> বিস্তারিত ::SangbadKantha.com/287  বৃষ্টির মাঝে রিক্সা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। বসুন্ধরায় যেতে কেউ রাজি না। হঠাৎ খুব শুদ্ধ উচ্চারণে এই ছেলেটি বলল - স্যার চলেন।   রিক্সা চলছে ... চালানোর ধরন দেখে জিজ্ঞাস করলাম নতুন নাকি ? - জ্বি কতদিন ধরে ? -গত দুই মাস।  কি নাম ? -হামিদুর।  পড়াশোনা কিছু করেছ ? -আরবী ল়াইনে ক্লাস নাইনে পড়ছি।  রিক্সা চালাছো কেন ? -কৃষক বাবা'র চিকিৎসার খরচ যোগানোর জন্য চালাচ্ছি। তাতে তোমার পড়াশোনার ক্ষতি হবে।  -আমিই পরিবারের বড় ছেলে। আমি দায়িত্ব না নিলে কে নিবে ?  পাল্টা প্রশ্নে আমি কিছুটা বিব্রত। এতটুকুন বয়সে কত দায়িত্ব বোধ !   এই রাষ্ট্র কিংবা সমাজ যখন তার দায়িত্ব নেবার কথা , উল্টো সে পুরা পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে !   অথচ এই সমাজেরই একজন ঐশী'র মান্থলি হাত খরচ অর্ধ লক্ষ টাকা।    হে ধানমন্ডি , গুলশান , বনানীর অভিভাবকগণ ! আপনাদের সন্তানদের মধ্যে কি এই ধরনের দায়িত্ব বোধ আছে ? শুধু পড়াশোনা জন্য খরচ না করে দায়িত্ব বোধ শিখানোর জন্য কিছুটা ব্যয় করুন। কাজে লাগবে।    হামিদুর'রা আছে বলে এই দেশ নিয়ে এখনো নিরাশ হবার সময় আসেনি। হামিদুরদের কারণে সন্ধ্যার বৃষ্টিভেজা আকাশও উজ্জ্বল হয়ে উঠে।তার ছোট্ট রিক্সাকে হওয়াই জাহাজ মনে হয় ! আনন্দঅশ্রু নিয়ে আমি আবার এই দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি.......         █ ফয়সল আহমেদ ( এডিটর-ইন-চিফ , সংবাদ কন্ঠ )

বৃষ্টির মাঝে রিক্সা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। বসুন্ধরায় যেতে কেউ রাজি না। হঠাৎ খুব শুদ্ধ উচ্চারণে এই ছেলেটি বলল - স্যার চলেন।

রিক্সা চলছে … চালানোর ধরন দেখে জিজ্ঞাস করলাম নতুন নাকি ?

- জ্বি

কতদিন ধরে ?

-গত দুই মাস।

কি নাম ?

-হামিদুর।

পড়াশোনা কিছু করেছ ?

-আরবী ল়াইনে ক্লাস নাইনে পড়ছি।

রিক্সা চালাছো কেন ?

-কৃষক বাবা’র চিকিৎসার খরচ যোগানোর জন্য চালাচ্ছি।

তাতে তোমার পড়াশোনার ক্ষতি হবে।

-আমিই পরিবারের বড় ছেলে। আমি দায়িত্ব না নিলে কে নিবে ?

পাল্টা প্রশ্নে আমি কিছুটা বিব্রত। এতটুকুন বয়সে কত দায়িত্ব বোধ !

এই রাষ্ট্র কিংবা সমাজ যখন তার দায়িত্ব নেবার কথা , উল্টো সে পুরা পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে !

অথচ এই সমাজেরই একজন ঐশী’র মান্থলি হাত খরচ অর্ধ লক্ষ টাকা।  

হে ধানমন্ডি , গুলশান , বনানীর অভিভাবকগণ ! আপনাদের সন্তানদের মধ্যে কি এই ধরনের দায়িত্ব বোধ আছে ? শুধু পড়াশোনা জন্য খরচ না করে দায়িত্ব বোধ শিখানোর জন্য কিছুটা ব্যয় করুন। কাজে লাগবে।

হামিদুর’রা আছে বলে এই দেশ নিয়ে এখনো নিরাশ হবার সময় আসেনি। হামিদুরদের কারণে সন্ধ্যার বৃষ্টিভেজা আকাশও উজ্জ্বল হয়ে উঠে।তার ছোট্ট রিক্সাকে হাওয়াই জাহাজ মনে হয় ! আনন্দঅশ্রু নিয়ে আমি আবার এই দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি…….  

 ফয়সল আহমেদ ( এডিটর-ইন-চিফ , সংবাদ কন্ঠ )