জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, মার্চ ২৮, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০৩:৩৪:২১

বিজয় দিবসে দীর্ঘ দিন পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে বিএনপি

| ৩ পৌষ ১৪২২ | Thursday, December 17, 2015

বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত গতকাল বুধবার বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। বেলা তিনটায় শোভাযাত্রা শুরুর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেছেন, দেশে আজ এক শ্বাসরুদ্ধকর অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই বিজয় শোভাযাত্রা করতে হচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আরো বলেন, “বিজয়ের” এই দিন আমাদের কাছে গর্বের ও আনন্দের দিন। সেদিন যাঁরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও বৈষম্যহীন গণতন্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজ ৪৪ বছর পরও আমাদের সেই অধিকারগুলো কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে জনগণ যে আন্দোলন করছে, নিঃসন্দেহে তা লক্ষ্যে পৌঁছাবে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব।’
দীর্ঘ সময়ের পর গতকালই প্রথম হাজার হাজার নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এর আগে গত একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্বল্পসংখ্যক নেতা-কর্মী দলের পক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়েছিলেন। গতকালের শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর হয়ে মালিবাগে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, নানা রঙের ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
দীর্ঘদিন পর বিএনপির প্রকাশ্য এই কর্মসূচিতে কয়েকজন ছাড়া দলের বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেখা যায়নি। বিজয় শোভাযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, মো. শাহজাহান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক, খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

শোভাযাত্রার আগে দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন। সেখানে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র অনুপস্থিত। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম, সেই গণতন্ত্র আজ তিরোহিত হয়েছে।’
বিজয় দিবসের ভোরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।