জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৪:১৬:১৩

লালবাগের ৭ হত্যার দায়ে ২ জনের ফাঁসির রায় বহাল

| ৯ শ্রাবণ ১৪২১ | Thursday, July 24, 2014

রাজধানীর লালবাগে ২০ বছর আগের চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মামলায় ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১ জনের দশ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি একেএম জহিরুল হক ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, এডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ শুনানি করেন।

নিম্ন আদালত আসামি আবদুস সালাম ওরফে মতি এবং জাহিদ হাসান ওরফে নাটকা বাবুকে মৃতুদ- দেন। এ ছাড়া, আবদুল আলিম ওরফে শাহীন, মুনির পাটোয়ারী, মাহতাব হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ওরফে আন্ডা, আমির হোসেন আমির, দিল মো. মতি, কানু ওরফে কাইল্যা, মোজাম্মেল ও মুন্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আবদুল আজিজকে দশ বছর কারাদ- দেন। বাকি আট আসামিকে খালাস দেন আদালত।

লালবাগে ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিশনার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৯৪ সালে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কমিশনার নির্বাচনে জয় লাভ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হুমায়ুন কবির। বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা পরদিন বিজয় মিছিল বের করে।

লালবাগের নবাবগঞ্জ রোডের ওপর মিছিলে পরাজিত বিএনপি প্রার্থী আবদুল আজিজ মিয়ার সমর্থকরা হামলা করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ছয়জন। এ ছাড়া, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ২-৩ মাস পর মারা যান আরো একজন। তখন থেকে মামলাটি সেভেন মার্ডার মামলা হিসেবে পরিচিত পায়।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিন পরাজিত প্রার্থী আবদুল আজিজসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন হুমায়ুন কবির। পরে মামলাটি তদন্ত করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

এরপর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ২০০৮ সালের ৭ মে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘনকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আসামি আবদুস সালাম ওরফে মতি এবং জাহিদ হাসান ওরফে নাটকা বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

এ ছাড়া, আবদুল আলিম ওরফে শাহীন, মুনির পাটোয়ারী, মাহতাব হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ওরফে আন্ডা, আমির হোসেন আমির, দিল মো. মতি, কানু ওরফে কাইল্যা, মোজাম্মেল ও মুন্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আবদুল আজিজকে দশ বছর কারাদণ্ড দেন। বাকি আট আসামিকে খালাস দেন আদালত। বিচার চলাকালে আবদুল মজিদ ওরফে চামু মারা যান।

পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য তা ডেথ রেফারেন্স আকারে এবং পলাতক দুই আসামি ছাড়া সবাই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। চলতি মাসে এই আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করলো হাইকোর্ট।