জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:০৪:৪২

পুলিশ সদরে মামলার তদবির করতে গিয়ে লক্ষ্মীপুর আঃলীগ নেতা জেহাদি কারাগারে

| ৯ শ্রাবণ ১৪২১ | Thursday, July 24, 2014

আবুল কাসেম জেহাদি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম (জিহাদী কাশেম) গ্রেফতার করেছে পুলিশ বুধবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আবুল কাশেম বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তিনি রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বিরুদ্ধে দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন শামিম যুবদল নেতা খোরশেদ আলম হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে

এদিকে জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান মো. শাফিউর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বুধবার দুপুর দুই টার দিকে আবুল কাসেম হত্যা মামলা প্রত্যাহারের তদবির নিয়ে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়াটার্সে যান। এসময় তিনি এডিশনাল ডিআইজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে শাহাবাগ থানার ওসি আজিজুল ইসলামকে জানানো হয়। পরে তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লক্ষীপুর নিয়ে আসে

 যেভাবে উত্থান কাশেম জিহাদীঃ
সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের হতদরিদ্র আবদুল আজিজের ছেলে আবুল কাশেম। রকেট লাঞ্চার নিক্ষেপের মধ্যে দিয়ে তিনি উপাধী পান জিহাদী। ১৯৯৪ সালে জিহাদী ছিল জামায়াত ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী। তখন তার নাম ছিল আবুল কাশেম। ওই সালে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। দু বছর প্রবাসে থেকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর দেশে এসে আবুল কাশেম স্থানীয়ভাবে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়। আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে লক্ষ্মীপুরে আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে গড়ে উঠে তার সখ্যতা। এরপর তিনি গড়ে তোলেন এক সন্ত্রাসী বাহিনী। রকেট লাঞ্চার থেকে শুরু করে দেশী বিদেশী নামী-দামী অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল তার ভান্ডারে। ১৯৯৭ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় রকেট লাঞ্চার নিক্ষেপের মধ্যে দিয়ে এলাকায় তার নাম ছড়িয়ে পড়ে জিহাদী। চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা, খুন,সন্ত্রাস,চুরি ডাকাতি,বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে দিয়ে এলাকায় তার বাহিনীর আধিপত্য বিস্তার ঘটে। বাহিনীর নাম দেয়া জিহাদী বাহিনী। এর প্রধান তিনি নিজেই। বাহিনীর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষিত শতাধিক দুধর্ষ সন্ত্রাসী। বাহিনীর সঙ্গে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র লক্ষ্মীপুর থানা পুলিশের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ বাহিনীর গুলির মুখে প্রতিবারই পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়

  বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুনঃ সাবেক জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলার পোদ্দার বাজারের পল্লী চিকিৎসক মোঃ খোকন, দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীম, একই এলাকার আবু তাহের, বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের মোরশেদ আলম, রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া গ্রামের মনির হোসেন, উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের সেলিম ভূইঁয়া, শিবির নেতা জাহেদ, কামাল হোসেন। এছাড়া বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, বালাইশপুর গ্রামের ৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, চাটখিল উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হাসানের গাড়িতে বোমা, গুলি অগ্নিসংযোগ, এতিমখানা অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সদর থানায় কমপক্ষে ১০টি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।


█ জিহাদী যেভাবে চেয়ারম্যান হলেনঃ ২০১১ সালের জুন মাসের ইউপি নির্বাচনে হঠাৎ করে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হলেন। এরপর অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিলে এলাকা থেকে ভোট করতে পারেনি তার বাহিনীর ভয়ে। তার বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনের দিন সকল ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যাপক কারচুপির মধ্যে দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। চেয়ারম্যান নিবার্চিত হওয়ার তিনি তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার বশিকপুর, দত্তপাড়া, মান্দারী, করপাড়া, উত্তরজয়পুর, বাংগাখাঁসহ পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাসঃ জিহাদী গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বশিকপুর ইউনিয়নসহ সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের এলাকার মানষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। প্রতিপক্ষ গ্রুপসহ নির্যাতিত মানুষের মাঝে আনন্দ উল্লাস দেখা গেছে

পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, আবুল কাশেম জিহাদীকে ঢাকায় গ্রেফতার করার খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী