কেনিয়া থেকে গ্রেফতার ভারতীয় নায়িকা মমতা কুলকার্নি
|
২৯ কার্তিক ১৪২১ |
Thursday, November 13, 2014
নয়ের দশকে বলিউডে ঝড় তোলা নায়িকা মমতা কুলকার্নিকে গ্রেফতার করা হল কেনিয়ায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, মাম্বোসা পুলিস ও আবগারি দফতরের যৌথ অপারেশনে স্বামী ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়েন মমতা কুলকার্নিও। মমতারা যে ড্রাগ পাচার করছেন তার প্রত্যক্ষও প্রমাণও মিলেছে বলে খবর।
সিনেমার পর্দা থেকে বহুদিন আগেই সন্ন্যাস নিয়ে অনেকটা গা ঢাকা দিয়েছিলেন মমতা। শেষবার তাঁকে দেখা যায় ২০০১ সালে দেবানন্দের সিনেমা সেন্সরে। এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মমতা। ১৯৯৭ সালে দুবাইয়ের এক সংবাদপত্রে প্রকাশ পায় মমতা দুবাইয়ের এক জেলে বন্দি আছেন। ১৯৯৭ সালে তাঁ। বয়ফ্রেন্ড বিজয় ভিকি গোস্বামীকে ড্রাগ পাচারের দায়ে দুবাইয়ের আইন অনুযায়ী ২৫ বছরের জেলের শাস্তি দেওয়া হয়।
ক মাসে আগেই মমতা কুলকার্নিই বিয়ে করন সেই মাফিয়া ডন বিজয় ভিকি গোস্বামীকেই। জেলে ভাল ব্যবহার করায় ভিকি ১৫ বছর শাস্তি খেটেই খালাস পান। আর তার পরেই মমতা কুলকার্নি দীর্ঘদিনের প্রেমকে সম্পর্কের সামাজিক পরিণতি দিলেন।সময়টা ছিল নব্বইয়ের দশকে, ১৯৯২ সালে ‘তিরাঙ্গা’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু। প্রথম ছবিতেই হিট। একে একে অর্ধশতাধিক ছবিতে অভিনয় করেন। একইসঙ্গে নিজের প্রাণবন্ত খোলামেলা উপস্থিতির মাধ্যমে সমালোচিতও হন।
পর্দায় মমতার দুঃসাহসিক দৃশ্যে অভিনয় দেখে অবাক না হয়ে পারেননি অনেকেই। শুধু ছবিতেই নয়, স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনে টপলেস হয়ে পোজ দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।
বিভিন্ন ধর্মীয় ও মহিলা সংগঠন মামলাও ঠুকে দেয় মমতার বিরুদ্ধে। বিপদে পড়েন এক মাফিয়া ডনের প্রেমে পড়ে। জানা যায়, অবৈধ ব্যবসায়িক প্রেমিক মাফিয়া ডন গোস্বামীকে সহায়তা করার দায়ে দুজনই অভিযুক্ত হন। তারপর যথারীতি জেল।প্রেমিক ১৯৯৭ সালে দুবাইয়ে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ হাজতবাসের পর ২০১২ সালে ছাড়া পান। মমতাকে অবশ্য বেশি দিন জেল খাটতে হয়নি। কিছুদিন পরই ছাড়া পেয়ে যান। এতদিন পর সেই মাফিয়া ডন গোস্বামীকে বিয়ে করে আবারো আলোচিত হলেন মমতা।
দীর্ঘদিন উগ্র জীবনযাপন করলেও এখন সুশৃঙ্খল জীবনযাপনেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েন মমতা। যতদূর জানা যায়, নিজের ইচ্ছাতেই তিনি বলিউড থেকে দূরে ছিলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি গোস্বামীকে বিয়ে করলেন।