বিয়ে করবে না তো এতদিন আমার শরীরটা নষ্ট করলে কেন ?- অভিনেত্রী হ্যাপি’র প্রশ্ন
|
৩০ অগ্রহায়ন ১৪২১ |
Sunday, December 14, 2014
নাজনীন আক্তার হ্যাপি।‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা তিনি। কিন্তু তার কিছু আশা এখন ধুলিস্মাত, পেলেন না কিছু ভালবাসাও। তাই, নাম হ্যাপি হলেও তিনি এখন আর হ্যাপি (সুখী) নন। বরং প্রেমের নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হ্যাপি। অভিযোগ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য , গত ২৯ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় তৃতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক করেন। তিনি একে-একে নিউজিল্যান্ডের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান কোরে অ্যান্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এবং জিমি নিশামকে আউট করে এ বিরল কীর্তিগাঁথা রচনা করেন।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রী হ্যাপির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রুবেলের সঙ্গে আমার ৯ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে কয়েকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। আর এটা হয়েছে মিরপুর কমার্স কলেজের বিপরীতে তার বাসায়।’ হ্যাপি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও সে ডেকে নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। এ সময় আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। যা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বিয়ের কথা বললেই সে নানা অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে। এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। কিছুদিন পড়ে করব। ক্যারিয়ারটা আরেকটু এগিয়ে নেই। তুমি পড়াশোনা শেষ কর। তারপর ধুমধাম করে বিয়েটা হবে। এমন সব গল্প বলে দিন পার করত আর আমাকে ভোগ করত।’
‘৩/৪ দিন আগে আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। উত্তরে রুবেল বলে, মিডিয়ার মেয়েরা ভালো না। তাদের চরিত্র খুব খারাপ। তাদের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। সুতরাং আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না। বিয়ে করবে না তো এতদিন আমার শরীরটা নষ্ট করলে কেন? এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। সেদিনের পর আর কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। আমি ভেবেছিলাম রুবেল আমাকে ফোন করবে। কিন্তু না কয়েকদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই তার সঙ্গে। ফলে এক প্রকার বা্ধ্য হয়েই আমাকে মামলা করতে হলো,’ অভিযোগ করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
কে এই নায়িকা হ্যাপি :
▬▬▬▬▬▬▬▬▬
২০১৩ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে হ্যাপির চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি বর্তমানে কাজ করছেন বদরুল আমিনের ‘রিয়েলম্যান’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘লাল সবুজের সুর’, মেজবাহ শিকদারের ‘অন্যরকম’, জামশেদুর রহমানের ‘ছন্দপতন’ চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। হ্যাপি’র গ্রামের বাড়ি খুলনায়। পরিবারসহ ঢাকার রূপনগর আবাসিক এলাকায় বাস করছেন এখন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়ছেন।-রাইজিংবিডি