হ্যাপি কেন একজন ধর্ষককে বিয়ে করবে -প্রশ্ন পেসার রুবেলের
|
১ পৌষ ১৪২১ |
Monday, December 15, 2014
জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেলের বিরুদ্ধে খুলনার মেয়ে অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী’র ধর্ষণ মামলা’র পর অবশেষে মুখ খুললেন রুবেল হোসেন।রুবেল বলেন - ‘আমি যদি হ্যাপিকে বিয়ে না করি তাহলে হ্যাপি আমার নামে মামলা করবে। এই হুমকি হ্যাপি আমাকে আগেই দিয়েছিল। ওর সাথে আমার তেমন বেশি সম্পর্ক ছিলনা। মাঝে মধ্যে ফোনে কথা হতো। আমি আসলে ভাবিনি ও এরকম করবে। ওর সাথে আমার কোন প্রকার শারীরিক সম্পর্ক হয়নি।
আর এখন বলছে বিয়ে করলে মামলা তুলে নিবে। এটা কি রকম কথা?
আমি যদি সত্যিই ধর্ষণ করে থাকি তবে হ্যাপি কেন একজন ধর্ষককে বিয়ে করবে ?
আমার ক্যারিয়ার নিয়ে ও খেলা করছে।
এটা মোটেও ঠিক না।
আমি লজ্জায় ফোন বন্ধ করেছি। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
পূর্বেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেত্রী হ্যাপির সঙ্গে। হ্যাপি বলেন, ‘রুবেলের সঙ্গে আমার ৯ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে কয়েকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। আর এটা হয়েছে মিরপুর কমার্স কলেজের বিপরীতে তার বাসায়।’ হ্যাপি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও সে ডেকে নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। এ সময় আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। যা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বিয়ের কথা বললেই সে নানা অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে। এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। কিছুদিন পড়ে করব। ক্যারিয়ারটা আরেকটু এগিয়ে নেই। তুমি পড়াশোনা শেষ কর। তারপর ধুমধাম করে বিয়েটা হবে। এমন সব গল্প বলে দিন পার করত আর আমাকে ভোগ করত।’
‘৩/৪ দিন আগে আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। উত্তরে রুবেল বলে, মিডিয়ার মেয়েরা ভালো না। তাদের চরিত্র খুব খারাপ। তাদের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। সুতরাং আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না। বিয়ে করবে না তো এতদিন আমার শরীরটা নষ্ট করলে কেন? এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। সেদিনের পর আর কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। আমি ভেবেছিলাম রুবেল আমাকে ফোন করবে। কিন্তু না কয়েকদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই তার সঙ্গে। ফলে এক প্রকার বা্ধ্য হয়েই আমাকে মামলা করতে হলো,’ অভিযোগ করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
রুবেল হোসেন জাতীয় দলের অন্যতম পেসার এবং বিশ্বকাপের ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলেও রয়েছেন। উল্লেখ্য ,গত ২৯ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলায় তৃতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক করেন। তিনি একে-একে নিউজিল্যান্ডের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান কোরে অ্যান্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এবং জিমি নিশামকে আউট করে এ বিরল কীর্তিগাঁথা রচনা করেন।