হ্যাপিকে নিয়ে বোমা ফাটালেন নাজনীন আক্তার হ্যাপির সাবেক প্রেমিক হাফিজুর রহমান আশিক। মূলতঃ আশিকই হ্যাপিকে মিডিয়ায় নিয়ে আসেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের সঙ্গে চিত্রনায়িকা হ্যাপির প্রেমের কাহিনি বেশকিছু দিন চাউর ছিল দেশব্যাপী। হাজার চেষ্টা করেও রুবেলকে বিশ্বকাপ মিশন থেকে ফেরাতে পারেননি হ্যাপি। ঘটনাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আশিক জানিয়েছেন তার সাথে আলোচিত নায়িকা হ্যাপির প্রতারণার কথা। আশিক জানায় আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপির প্রতারণার ভয়ংকর সব তথ্য। দেখায় তার সাথে হ্যাপির খুবই অন্তরঙ্গ ছবি।
কিভাবে হ্যাপির উত্থানঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
খুলনার মেয়ে হ্যাপি নাজনীন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন নায়িকা হওয়ার। মনে মনে নিজেকে নায়িকা ভাবতেন তিনি। ধর্মভীরু পরিবারের মেয়ে হওয়ায় কিছুটা বাধা আসে তার। সব বাধাকে উপেক্ষা করে নাচ-গান শিখেছেন ছোটবেলা থেকেই।
২০১০ সালের মাঝামাঝিতে হ্যাপি মিউজকি ভিডিওতে গানের মাধ্যমে মিডিয়ায় আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর চলচ্চিত্রের বিভিন্ন প্রযোজকের সাথে তার সখ্য গড়ে উঠতে থাকে। বিভিন্ন কায়দায় বেশকিছু প্রযোজকের মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ও আশিক একসাথে বিভিন্ন ছবির সুটিং সহ একসাথে চলাফেরা করতো।
নায়ক আশিকই মুলত টেলিফিল্মে কাজ করার জন্য হ্যাপির মায়ের সাথে কথা বলে হ্যাপিকে নিয়ে আসে। কিছুদিন আশিকের সাথে মোবাইলে কথাবলার পর বাড়তে থাকে সখ্যতা। এমনকি বিভিন্ন স্থানেও তাদের ঘোরাঘুরি আর বিভিন্ন লোকেশনে চলে ছবি তোলার পালা। এই আশিকই নানা ঘটনা-অঘটনের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী। নায়ক আশিকের সাথে টেলিফিল্মে অভিনয়ের কথা বলে বিভিন্ন লোকেশনে ফটো সেশন করেই হ্যাপি নাকি হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা ।
এভাবেই দেহের লোভ দেখিয়ে ক্রিকেটার রুবেলসহ বিভিন্ন ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। অভিযোগকারীর তথ্যমতে,হ্যাপি প্রতিদিন ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতেন ।
জানা গেছে, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি পরিচয় চলচিত্র পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সাথে। পরিচালক মানিক তাকে একটি ছবিতে অভিনয়ের আশা দিয়ে গ্রীণ রোডে একটি বাসা ভাড়া করে হ্যাপীকে নিয়ে প্রায় এক থেকে দেড় বছর অবস্থান করেন বলেও জানিয়েছেন আশিক ।
এভাবে থাকার পর ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে কিছু আশা কিছু ভালোবাসা নামক ছবিতে নবাগত নায়ক আবীরের বিপরীতে হ্যাপিকে নায়িকা হিসেবে নির্বাচন করেন।
হ্যাপির পূর্ব পরিচিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, হ্যাপি এভাবে বিভিন্ন মানুষকে ফাঁদে ফেলে কৌশলে অনেক টাকাও আদায় করে নিয়েছে। তবে হ্যাপির টার্গেটের পাত্র ছিলেন সবসময়ই ৫০ এর উপরে বয়স্ক মানুষেরা।
হ্যাপির পারিবারিক খোজ নিয়ে জানা গেছে, হ্যাপির বাবা দুজন। হ্যাপির আসল বাবার নাম ইউসুফ আলী। তিনি সাবেক সেনা সদস্য । হ্যাপির মা আরও একটি বিয়ে করায় হ্যাপির দ্বিতীয় বাবা সাভারের বাইপাইল এলাকার আলহাজ্ব ওমর আলী। তবে হ্যাপির মা হামিদা বেগম ওমর আলীর এখন তিন নম্বর স্ত্রী। কারন ইউসুফ আলী এখন অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছেন। সেখানে তার দুই ছেলেও আছে ।
সংবাদকন্ঠ.কম |
ফোন: ৮৮ ০২ ৮১৪৪৪৬০, ৮১৪২২৮০ , নিউজ রুম মোবাইল: ৮৮-০১৭১১০৭৪৬১৬
ফ্যাক্স: ৮৮ ০২ ৮১৪২২৮০ ,ইমেইল: sangbadkantha@gmail.com
ঠিকানা : ৬৮/৬৯ ,গ্রীনরোড, কনসেপ্ট টাওয়ার ,৬ষ্ঠ তলা, ঢাকা-১২০৫ ।
কপিরাইট © ২০২০ সকল স্বত্ব ® সংরক্ষিত।
© 2024 সংবাদ কণ্ঠ, All rights reserved.