জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:০৭:০৬

দীপনের বাবা হয়তো হত্যাকারীদের ‘মতাদর্শে’ বিশ্বাসী, বললেন হানিফ

| ১৭ কার্তিক ১৪২২ | Sunday, November 1, 2015

দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের বাবা বিশিষ্ট কলামিস্ট আবুল কাসেম ফজলুল হকের কঠোর সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন,‘নিহত দীপনের বাবা বলেছেন, উনি পুত্র হত্যার বিচার চান না। হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক। আমার মনে হয়, পুত্রহারা পিতা সন্তানের হত্যার বিচার চান না, এটা বাংলাদেশে প্রথম। পৃথিবীতে এমনটি আমি দেখিনি।’

রবিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি এসব কথা বলেন। জেলহত্যা দিবসের জনসভার প্রস্তুতি পরিদর্শনে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেছিলেন।তিনি বলেন, পুত্রহারা বাবা অধ্যাপক সাহেব হয়তো ওই রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। উনি উনার দলের লোকজনদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না বলেই এ ধরনের কথা বলেছেন।

দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হক আবারো বলেন, ‘গতকালও (শনিবার) বলেছি, আজও বলছি- আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই না।’


তিনি বলেন, ‘একথা আমি ক্ষোভ থেকে বলিনি। সুস্থ বিচার-বিবেচনা থেকেই বলেছি। দেশের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হলে এ ধরনের সমস্যা আর থাকবে না।’

ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, ‘আদর্শগত ও রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। তারপর আইনগতভাবে। নইলে এ সমস্যার সমাধান কখনো হবে না।’

হানিফ বলেন, দু-একটি ঘটনা দিয়ে সরকারের বিব্রত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে বহু আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিব্রত হয়ে যেত। ওখানে তো বহু ঘটনা ঘটেছে। এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, আমরা সব সময় এটা বলে এসেছি।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা এসব কাজ করছে। সরকার আর যাই করুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করতে পারে না।

আওয়ামী লীগের সমাবেশে নাশকতার আশঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘আমরা কোনো শঙ্কা প্রকাশ করছি না। আজকে যারা ব্লগার বা মুক্তচিন্তার মানুষ হত্যা করছে এগুলোর সবকিছু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ 

এ সময় ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুছ ছাত্তার, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ হানিফের সঙ্গে ছিলেন।

উল্লেখ্য, দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত ছেলেকে দেখতে গিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ‘আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই না। কেননা, বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক।’

হানিফের ব্যাখ্যা: মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্য অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর সোয়া ১০টার দিকে তিনি টেলিফোনে বলেন, ‘তাঁর দেওয়া বক্তব্যে এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি তাঁর দেওয়া বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন ‘আমি কোনো বিচার চাই না’ আবুল কাশেম ফজলুল হকের এই মন্তব্যে তাঁর ছেলে দীপনের খুনিরাই বরং উৎসাহিত হবে।