জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:৪৭:২৯

সড়কে গেল ২০ জনের প্রাণ

| ২ পৌষ ১৪২২ | Wednesday, December 16, 2015

রাজশাহী, রংপুর, সিরাজগঞ্জ ও যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাজশাহীতে  মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর চৌদ্দপায় ফল গবেষণা কেন্দ্রের সামনে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়ীর চালকসহ সাতজন মারা গেছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪০ জন।

নিহতরা হলেন, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সোলায়মান মিয়ার ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৬৫), রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফারজানা শেখ লুবনা (২৩), পুঠিয়ার ভাল্লুকগাছি এলাকার মইনুদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের দম্পতি বেলিয়ারা ও আজাবর, অর্পা পরিবহনের চালক মিন্টু (৪০) ও ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক শহীদুল ইসলাম শহীদ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেন রানা জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রাজশাহী সদর দমকল বাহিনীর অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুল কবির জানান, বেলা দেড়টার দিকে রাজশাহী থেকে তাহেরপুরগামী অর্পা পরিবহণের সাথে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ন্যাশনাল পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বাসের চালকসহ চারজন মারা যান। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আমির জাফর জানান, ঘটনার পর রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি অপসরণ করে।

রংপুর নগরীর মডার্ন মোড় এলাকায় সিএনজির চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী সিয়াম (২৫) ও পলাশ (২২) নিহত হয়েছেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) শফিক জানান দুই মোটরসাইকেল আরোহী মডার্ন মোড় থেকে শহরে প্রবেশ করার সময় একটি সিএনজি চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

তিনি আরো জানান, পুলিশ সিএনজি চালক রহমানকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নসিমন ও তেলবাহী ট্যাংকারের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। শাহজাদপুরের গাড়াদহে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহজাদপুর থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, দুর্ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ পরিবর্তন ডটকমকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শাহজাদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেনও দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন।

নিহতদের প্রায় সবাই শাহাজাদপুরের বড়মহারাজপুর গ্রামের হাসেন আলীর পরিবারের সদস্য বা তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

এরা হলেন- হাসেন আলীর তিন ছেলে-মেয়ে জালাল উদ্দিন (৪০), মোকবেল হোসেন (৩৮) ও আঞ্জুলা খাতুন (২৫); ওই পরিবারের সদস্য সোরমান আলীর স্ত্রী ওজুবা বেগম (৬০), রজব আলীর মেয়ে বন্যা খাতুন (১০), তারা মিয়ার মেয়ে রেনু খাতুন (২৮), রেজাউল ইসলামের মেয়ে ফিরোজা খাতুন এবং ভটভটি চালক গফুরের ছেলে আব্দুস সোবহান (৩৫) এবং পুন্নী (৩৫)।

ওসি রেজাউল করিম জানান, গাজীপুরে সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশে ১৭ জন যাত্রীবোঝাই একটি নসিমন বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে ওঠে। নসিমনটি সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল মোড় যাওয়ার পথে গাড়াদহের বকুলতলায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিপরীতমুখী একটি ট্যাংকলরীর সঙ্গে নসিমনটির সংঘর্ষ হয়। হাটিকুমরুল থেকে তাদের গাজীপুর যাওয়ার কথা ছিল।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে নসিমনটি ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে ধুমড়ে-মুচড়ে যায়। নসিমনের চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হন।

পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পাঠায়। আহতদের অবস্থা গুরতর হওয়ায় পাঁচজনক জিয়াউর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ লরিটি আটক করেছে তবে চালক-হেলপার পালিয়েছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন এবং সিভিল সার্জন দেবপদ রায় ঘটনাস্থলে যান।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং ট্যাংকলরি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

যশোরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের সদরের মালঞ্চী নামক স্থানে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, যশোর সদরের নতুনহাট এলাকার ইলাহী বক্সের ছেলে আয়ুব আলী (৪৫) ও মালঞ্চী গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে ওহেদ আলী (৪০)।

আহতরা হলেন, শহরের রেলস্টেশন এলাকার নিলুফা বেগম, সদরের ডুমদিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক, মালঞ্চী গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে আহাদ আলী, ঝিকরগাছার কলাগাছি গ্রামের লাল্টুর স্ত্রী লিপি বেগম, বেনাপোলের ধান্যখোলা গ্রামের সামাদের ছেলে জাকির হোসেন, বেনাপোলের মতিয়ার রহমানের ছেলে রকিবুল হাসান, বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের গুলজার হোসেনের ছেলে লিয়াকত আলী, ঝিকরগাছা এলাকার রাশেদ আলীর স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম, শার্শার ফুলসারা গ্রামের বারিক হোসেনের ছেলে খোকন, ঝিকরগাছার পুরন্দপুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল খালেক। তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত রকিবুল হাসান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেনাপোল থেকে যশোর অভিমুখে একটি বাস ছেড়ে আসে। বাসটি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের সদরের মালঞ্চী নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি সিকদার আক্কাস আলী জানান, দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে আয়ুব আলী ঘটনাস্থলে এবং ওহদ আলী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়।