জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:৩২:২৫

বিজিএমইএ নেতারা কি পারবে তুবা গ্রুপের শ্রমিকদের ঈদ ফিরিয়ে দিতে

| ১৭ শ্রাবণ ১৪২১ | Friday, August 1, 2014

Photo

পোশাক কারখানা তুবা গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন, ভাতা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা৷ তাঁরা বলেছেন, মালিক জেলে থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷

শ্রমিকরা ঈদ করতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ নেতারা৷ তবে বকেয়া বেতন-ভাতার টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা৷

ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর প্রথম কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ নেতারা এই প্রতিশ্রতি দেন৷ তবে বিজিএমইএ-র বর্তমান কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না৷ সাতদিনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন বিজিএমইএ-র সাবেক সহসভাপতি টিপু মুন্সি৷

বিজিএমইএ ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুন্সি বলেন, ‘‘ঈদের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন, বোনাস সংক্রান্ত যে ধরনের হয়রানি হয়েছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত৷ ব্যাংকের কাছ থেকে আমাদের যে টাকা পাওয়ার কথা ছিলো তা পাওয়া যায়নি বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷”

তিনি বলেন, ‘‘কিছু টাকা যা অন্যান্য জায়গা থেকে ব্যবস্থা করে তুবা গ্রুপের কয়েকটি কারখানায় পরিশোধ করা হয়৷ কিন্তু সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন দেয়া যায়নি৷ আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহ বা সাত কর্ম দিবসের মধ্যেই তুবার শ্রমিকদের বেতন, ভাতাদি পরিশোধ করা সম্ভব হবে৷”

তুবা গ্রুপের আমরণ অনশনে অংশ নেয়া শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বিজিএমইএ-র দ্বিতীয় সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, ‘‘আপনাদের দাবির সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত৷ একটু ধৈর্য্য ধরুন৷ আমাদের একটু সময় দিন৷”

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ-র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘‘আমাদের কার্যক্রম শেষ করতে অন্তত সাত কার্যদিবসের দরকার৷ শ্রমিক ভাইবোনদের বলব একটু ধৈর্য্য ধরুন৷ আমরণ অনশন কোনো সমাধান না৷”

বিজিএমইএ নেতারা বলেন, তুবা গ্রুপের মালিক জেলে থাকায় বর্তমানে ক্রেতারা কার্যাদেশ দিতে অনীহা প্রকাশ করছে৷ অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারড বিল্ডিং-এ অবস্থিত হওয়ায় সাব সাব কন্ট্রাক্টের কাজও পাচ্ছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়ায় মে, জুন, জুলাই মাসের শ্রমিকদের বেতন দিতে পারেনি গ্রুপটি৷

বিকেলে বিজিএমইএ-র সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যায় শ্রমিকরা বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন৷ আন্দোলনরত শ্রমিকরা বিজিএমইএ-র এই প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে পারছেন না৷ তাঁরা বলছেন, ‘‘টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না, আন্দোলন চলবেই৷”

শ্রমিকরা বলেন, ‘‘গত তিনদিন ধরে অনাহারে থেকে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি৷ ঈদও এই কারখানায় কেটেছে৷ আমাদেরকে মালিক ও বিজিএমই-র কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেনি৷ এখন শ্রমিকদের আন্দোলন দেখে বিজিএমইএ-র টনক নড়েছে৷ তাই তাঁরা বলছে আগামী সাতদিনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে৷”

তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের এই কথায় আস্থা রাখতে পারছি না৷ কারণ এর আগেও মালিকপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করতে পারেনি৷ তাই টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই৷”

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের আগে বেতন-ভাতা না পেয়ে ঢাকার বাড্ডায় তুবা গ্রুপের পাঁচটি পোশাক কারাখানার ১,৬০০ শ্রমিক ঈদের আগের দিন সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন৷ ঈদের দিনও তাঁরা অনশন করে কাটিয়ে দেন৷

তিনদিনের অনশনে এরই মধ্যে ৬৫ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ২১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ বাকিদের কারখানার ভেতরেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷

-dw.de