দুই শিক্ষিকার চুলোচুলি ! স্কুলে পত্রিকা আনল কে
|
২৮ শ্রাবণ ১৪২১ |
Tuesday, August 12, 2014
ফ্যাশন পত্রিকাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুলু অবস্থা আসানসোলের মণিমালা গার্লস হাইস্কুলে৷ ফ্যাশন পত্রিকাটি স্কুলে কে নিয়ে এসেছে তা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। এর জেরে স্কুলের সহ-শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
ঘটনায় ইতিমধ্যে আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ ফাঁড়িতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে প্রহৃত শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী তরফদার। তবে মারধরের অভিযোগ সাজানো বলে দাবি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷
স্কুল সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ক্লাস চলাকালীন মণিমালা গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর কাছ থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ওই ফ্যাশন পত্রিকাটি পাওয়া যায়৷ ক্লাস টিচার বুবুল ঘোষের অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীন দুই ছাত্রী পত্রিকাটি দেখছিল। বিষয়টি শিক্ষা দেখে ফেললে এক ছাত্রী দাবি করেন, পত্রিকাটি তার মায়ের৷ তার হাত দিয়ে বন্ধুর মাকে দেওয়ার জন্য পত্রিকাটি পাঠিয়েছে তার মা৷ ক্লাস টিচার পত্রিকাটি কেড়ে নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেন৷ স্কুলের তরফে ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকদের ডাকা হয়৷
কিন্তু, অভিভাবকরা স্কুলে আসার আগেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়৷ মণিমালা গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী তরফদার প্রধান শিক্ষিকার কাছে দাবি করেন, ওই পত্রিকাটি তাঁর৷ স্কুলের মধ্যেই তা হারিয়ে গিয়েছিল৷ ইন্দ্রাণীদেবীর অভিযোগ, এরপর প্রধান শিক্ষিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন৷ অন্যদিকে ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা সুস্মিতা চৌধুরীর দাবি, চিৎকার শুনে তিনি মমতাদেবীর ঘরের দিকে যান৷ সেখানে গিয়ে দেখেন ইন্দ্রাণী তরফদার মেঝেতে পড়ে রয়েছেন৷ আর তাঁকে মারধর করছেন মমতাদেবী৷ এরপর পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷
তবে গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি পুরো দোষটাই চাপিয়েছেন ইন্দ্রাণীদেবীর ঘাড়ে৷ তাঁর দাবি, পত্রিকাটি ইন্দ্রাণীদেবীর নয়৷ তা সত্ত্বেও তিনি চেঁচামেচি করেছেন৷ তখন তাঁকে সরিয়ে দিতে গেলে তিনি পড়ে যান৷ কিন্ত্ত মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি৷ পুরোটাই সাজানো বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷এদিকে দুই শিক্ষিকাকে ঘিরে গোলমালের জেরে স্কুলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷ আতঙ্কিত স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকরাও৷