জুয়েলারী জগতে আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে “ডায়মন্ড সিটি” কেবিন ক্রূ/ ফ্লাইট স্টুয়ার্ড নেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (ছেলেমেয়ে উভয়ই) বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে লোক নিবে নভো এয়ারলাইন্স, যোগ্যতা HSC, আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই। অচেনা নায়ক ! Unseen Hero !! কেবিন ক্রু নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ,যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ,আবেদন করতে পারবে ছেলে মেয়ে উভয়ই বিনা অভিজ্ঞতায় “কেবিন ক্রু” পদে চাকরি, যোগ্যতা HSC পাশ, বেতন ৮০০০০ টাকা ইউএস-বাংলার বহরে নতুন বোয়িং যুক্ত ‘চাকরির হতাশায়’ ঢাবি গ্রাজুয়েটের আত্মহত্যা ! নতুন ৫ টিভি চ্যানেলের অনুমোদন , মিডিয়াতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ জবস এওয়ানের এক যুগ পূর্তি
ঢাকা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:৩৭:০৮

‘মাত্র দেড়দিনের আলাপে আমার বিয়ে হয়েছে’ (ভিডিও সহ)

| ৩০ শ্রাবণ ১৪২১ | Thursday, August 14, 2014

Photo

সাতপাঁকে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। পাত্র অভিষেক সাহা। একটি বেসরকারি চ্যানেলে চাকরি করেন। মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই আলাপ তারপর প্রেম এবং শেষমেশ বিয়ে। এর আগে সুদীপ্তা বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা রাজেশ শর্মাকে। কিন্তু বেশিদিন টেকেনি সেই বিয়ে। পরে তারা আলাদা হয়ে যান। এরপর থেকে সুদীপ্তা একাই সিঙ্গল উওম্যান হিসেবে সব দায়িত্ব সামলেছে।

প্রশ্ন : সামনে নতুন কী কাজ করছেন ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী: এই মুহূর্তে উৎসব মুখাজীর ছবি ‘ভীতু’-র শ্যুটিং চলছে | এই ছবিতে আমি একজন প্রতিবন্ধী চরিত্রে অভিনয় করছি | খুবই ইন্টারেটিং আর চ্যালেঞ্জিং রোল ১৫ আগস্ট রিলিস করছে অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর বুনো হাঁস | এই ছবিতে আমার লুক দেখে অনেকেই বাড়িওয়ালির সেই মালতী চরিত্রের লুকের মিল পাচ্ছেন | চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্যর ছবি ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ মনে হয় এই বছরের শেষে রিলিজ করবে | এটা বয়ঃসন্ধি পিরিয়ডের একটা গল্প | মূল যে ছেলেটিকে নিয়ে গল্প, আমি তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি | মা আর ছেলের মধ্যে ষোলো সতেরো বছরের বয়সের ডিফারেন্স | সমবয়স্ক দুটো মানুষের যেমন সম্পর্ক হয়,মা ছেলের মধ্যেও তেমনই সম্পর্ক এই ছবিতে | সম্পর্কের ইকুয়েশনটা খুব ইন্টারেস্টিং | কখনও একটা টানাপোড়েন, কখনও আবার বন্ধুত্ব | ছেলের চরিত্রের অভিনয় করেছে কৌশিক সেনের ছেলে ঋদ্ধি |এই বছরের শেষে আর একটা ছবি রিলিজ করার কথা | সেটার নাম হোল শব্দকল্পদ্রুম |

প্রশ্ন : শব্দকল্পদ্রুমে আপনার চরিত্রটা কেমন?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : এটার পরিচালক সুদীপ দাস| একদল সন্ত্রাসবাদী কলকাতায় বোম ব্লাস্টের পরিকল্পনায় আসে | এই টেরোরিস্ট গ্রুপের একজনই মহিলা | সেই মহিলার চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি |

প্রশ্ন : বাড়িওয়ালির মতো ছবিতে আপনি জাতীয় পুরস্কার পান | তারপরেও আপনাকে বাংলা ফিচার ছবিতে খুব বেশি দেখা যায়নি | স্বেচ্ছায় আপনি দূরে সরেছিলেন বাংলা ছবি থেকে ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : না ঠিক তেমন নয় | আমার কাছে খুব ভাল ছবির অফার তখনও আসেনি | আর আমি নিজে থেকে কাজের জন্য কাউকে বলতে করতে পারিনা | আমার কাছে কোনও ছবির অফার এলে, আমি ভেবে দেখি সেটা করার মতো কিনা | বাড়িওয়ালির পর বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর দুটো ছবি করেছিলাম | মন্দ মেয়ের উপাখ্যান এবং কালপুরুষ | এ ছাড়া কমলেশ্বর মুখার্জীর প্রথম ছবি ‘উড়ো চিঠি’ করেছি | সন্দীপ ‘হিটলিস্ট’ করেছি | সন্দীপ রায়ের ‘চার’ করলাম | সুমন ঘোষের ‘নোবেল চোর’ করেছি | হ্যাঁ এটা ঠিক যে বছরে অনেক ছবি করিনি | কারণ তখন আমি টেলিভিশনে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম | আমাদের এখানে একটা মিথ রয়েছে যে টেলিভিশনে বেশি কাজ করলে সিনেমার জন্য তাকে ভাবা হয় না | আমি ঠিক জানিনা আমার ক্ষেত্রে সেটা হয়েছিল কিনা !

প্রশ্ন: এখন টেলিভিশনে ভাল কাজ পেলে করবেন ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : হ্যাঁ নিশ্চয়ই করব | এখন টেলিভিশনের ওয়ার্কিং আওয়ার শুনে আমি ভয় পেয়ে যাই | আমার সারাদিনে খবরের কাগজ পড়ার টাইমটা অন্তত চাই | টেলিভিশনে এখন যেরকমভাবে কাজ হয়‚ শুনে মনে হয় আমি সেই সময়টুকু হয়ত পাব না | কিন্তু ভাল ইন্টারেস্টিং চরিত্র যদি পাই‚ তাহলে নিশ্চয়ই করব | কিন্তু গত কয়েক বছরে আমি সেরকম চরিত্র পাইনি |

প্রশ্ন: আপনি যখন প্রাথমিক পর্যায়ে অভিনয়ের জগতে এলেন‚ তখন কি আপনার শিক্ষার মাধ্যম ছিল থিয়েটার ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : আমি কখনও কোনও ইন্সটিটিউশনাল ট্রেনিং নিইনি | বাচ্চারা যখন ঝিলমিলে (এখন যেটা নিক্কোপার্ক) বেড়াতে যেতো‚ যখন চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যেত‚ তখন আমরা একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে আসতম | আমার সমবয়সীদের কাছে যখন চিড়িয়াখানা‚ ঝিলমিল খুব পরিচিত নাম‚ তখন আমার কাছে বহুরূপী‚ নান্দীকার‚ চেতনা নাটকের দল খুব পরিচিত নাম | তাই খুব স্বাভাবিক নিয়মেই ওই নাটকের বিষয় আমার মধ্যে চলে এসেছিল | এমনকী‚ বাড়িতে সিনেমা দেখারও সেরকম চল ছিল না |

প্রশ্ন: সিনেমায় বাড়িতে আপত্তি ছিল ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : হলে গিয়ে সিনেমা দেখার পক্ষপাতী বাবা ছিলেন না | নাটকই দেখতাম | ছোটবেলায় যখন আমি বেড়ে উঠছি‚ তখন অজ্ঞাতেই ওই নাটকের সাংস্কৃতিক উপাদানগুলি আমার মধ্যে চলে আসে | আমার মনে হয় অভিনয়ের উপাদান কোনও সাহিত্যে থাকে না | জীবনে থাকে |

প্রশ্ন: সেটা কীরকম ?

সুদীপ্তা চক্রবতী : আপনার সঙ্গে আমি এখন কথা বলছি | কিন্তু আপনি জানেনই না, আপনার ম্যানারিজমগুলো আমি নকল করছি | কোনওদিন আপনার মতো কোনও চরিত্রে যদি অভিনয় করতে হয়, তাহলে কিন্তু আমি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাব | এছাড়া আমি সহ অভিনেতাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি | রিসেন্ট পাস্টে প্রায় সব সিনেমা আমি হলে গিয়ে দেখেছি | ইংলিশ সিনেমা এখন একটু কম দেখা হয় | প্রায় সব নাটক আমি হলে গিয়ে টিকিট কেটে দেখি | এটাই হোল আমার শেখার টেক্সট বুক |

প্রশ্ন: আর কোনও শেখার পদ্ধতি রয়েছে?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : আমি যখন গাড়িতে যাই, তখন কালো কাচের ভিতর থেকে প্রচুর মানুষ দেখি | তাদের ফলো করি | স্টাডি করি |

প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনার বিয়ে হয়েছে | বিয়ের আগের জীবন এবং পরের জীবনের মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করছেন?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : বিয়ের আগে শ্যুটিং থেকে বাড়ি ফেরার কোনো তাড়া থাকত না | এখন বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে | কারণ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকে | এই পরিবর্তনটা ফিল করি |

প্রশ্ন: আপনার স্বামী আপনার সিনেমা দেখে কী বলেন ?

সুদীপ্তা চক্রেবর্তী : আমার হাজব্যান্ড আঠারো বছর কলকাতার বাইরে কাটিয়েছেন | উনি কলকাতায় এসেছেন কয়েকবছর হল | উনি আমার কাজের পরিধি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না | আমাদের মাত্র দেড় দিনের আলাপে বিয়ে হয়েছে |

প্রশ্ন: মাত্র দেড় দিনের আলাপে আপনাদের বিয়ে হয়েছে ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : হ্যাঁ | ও শুধু জানত সুদীপ্তা অভিনয় করে | ও যখন বাড়িতে বিয়ের কথা বলে‚ তখন ওর বাড়ির লোকেরা ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে | ওরা বলে‚ সুদীপ্তাতো অনেক কিছু করেছে | ও তখন বলে আমি তো এতোসব কিছু জানিই না |

প্রশ্ন: এখন উনি আপনার কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : বিয়ের পর থেকে ও আমার সব কটা ছবি ল্যাপটপে চালিয়ে চালিয়ে দেখছে |

প্রশ্ন: প্রত্যেক নারীর একজন স্বপ্নের পুরুষ থাকে | বিয়ের পরে সেই স্বপ্নের পুরুষ খুঁজে পেলেন ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : ফ্যান্টাসি ফ্যান্টাসিই | ফ্যান্টাসির সঙ্গে রিয়ালিটির মেলানোটা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয় | সে চেষ্টা আমি করিনি | পর্দার নায়কদের নিয়ে আমি ফ্যান্টাসাইজ করেছি | আমার যখন অ্যাডোলেসেন্স পিরিয়ড‚ তখন রোজা সিনেমার অরবিন্দ স্বামী ছিল আমার ফ্যান্টাসির পুরুষ | শাহিদ কাপুর আমার আর এক ফ্যান্টাসির মুখ | রণদীপ হুডার জন্যও আমি পাগল | রণদীপের কোনও ছবি আমি মিস করি না | তার মানে এই নয় যে আমি আমার স্বামীর মধ্যে রণদীপকে খুঁজব |

প্রশ্ন: জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার ঠিক কী অ্যাম্বিশন ছিল ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : কোনও অ্যাম্বিশন ছিল না | এর আগেও আমার একবার বিযে হয়েছিল | বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে | তাই আলাদা করে কোনও অ্যাম্বিশন ছিল না |

প্রশ্ন: তাহলে ঠিক কী দেখে বিয়ে করলেন?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : প্রায় দশ বছর একা জীবন কাটিয়েছি | একা থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছি | আমার স্বামী আমার দিদির পরিচিত ছিল | আমি ভাল করে চিনতাম না | কিন্তু ওর সম্পর্কে দিদির কাছে অনেক কিছু শুনেছিলাম | ওকে দেখে বুঝেছিলাম‚ ও খুব শান্ত এবং অনুভূতিপ্রবণ একজন মানুষ | আমার এক্সপ্রেশনগুলো খুব লাউড | আর ওর অভিব্যক্তিগুলো খুব নিয়ন্ত্রিত | সেটা আমার খুব ভাল লেগেছিল | আমি ওকে স্টাডি করার খুব বেশি সময় পাইনি | হঠাৎ করে ও এসে আমায় প্রোপোজাল দিল | আর আমি তখনই হ্যাঁ বলেছিলাম |

প্রশ্ন : সত্যি কিছুই ভাবেননি?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী :কিচ্ছু ভাবি নি | কত টাকা রোজগার করে‚ কী করে —এসব কিছুই ভাবিনি | ভগবানের দয়ায়‚ আপনাদের আশীর্বাদে আমার কোনও কিছুরই কমতি ছিল না | কিন্তু একাকীত্ব আমাকে খুব পীড়া দিচ্ছিল | অভিষেককে দেখে আমার মনে হয়েছিল যে ও আমাকে হ্যান্ডেল করতে পারবে | সে সব কিছু ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া |

প্রশ্ন: আপনার কাছে যৌবন এবং মধ্য যৌবনে প্রেমের ডেফিনিশন ঠিক কী ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : আমি এখনও যৌবনেই আছি | মধ্য যৌবনে যাইনি | মনের দিক থেকে এখনও টিন এজারদের মতোই | সবে প্রেমে পড়লে ঠিক যেটা হয়‚ সেটা এখনও আমার মধ্যে রয়েছে | আমি জীবনের কাছে প্রার্থনা করি‚ এগুলো যেন থেকে যায় | আমার কাছে প্রেম হল একটা ইমোশনাল কম ফোর্ট জোন | প্রেমের কাছ থেকে যদি খাদ্য বাসস্থান চাওয়া হয়্‚ তাহলে খুব মুশকিল | প্রেমে কোনো যুক্তি তর্ক চলে না |

প্রশ্ন: এর আগে যে আপনার ব্রেক আপ হয়েছিল‚ সেই অনুভূতির উপাদান কখনও কোনও অভিনয়ে কাজে লাগিয়েছিলেন ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : ‘বিকেলে ভোরের সর্ষে ফুল’ নাটকে কোয়েল যখন বুঝতে পারে‚ ওই অসম বয়সী রিলেশনশিপ কোথাও যাচ্ছে না‚ তখন সে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যায় | আমার ব্যক্তিগত জীবনেও সেটা করতে হয়েছে | আমি যখন বুঝতে পেরেছি‚ একটা রিলেশনশিপ কোথাও যাচ্ছে না‚ তখন আমিও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি | ওই নাটকে কোয়েলের ভূমিকায় আমি এখনও অভিনয় করছি | প্রত্যেক শোয়ে অভিনয়ে আমাকে আমাকে কাঁদতে হয় | তাই দর্শক আমাকে জিজ্ঞাসা করে —স্টেজে প্রতিদিন কাঁদেন কী করে? আমি সেই অনুভূতি জানতাম বলেই এটা করতে পারি |

প্রশ্ন: আজকের বাংলা সিনেমার অধিকাংশেই এলিট ক্লাস জীবনের রিফ্লেকশন দেখা যায় | এটার কারণ কী বলে আপনার মনে হয় ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : এখনকার মেকারদের অধিকাংশই হয়ত শহুরে জীবন যাপনে অভ্যস্ত | তাই তাদের দেখাটাই সিনেমায় রিফ্লেক্ট করে | কিন্তু এর বাইরেও ছবি হয় | কৌশিক গাঙ্গুলীর শব্দ-তে একজন ফোলি আর্টিস্টের জীবন দেখানো হয়েছে | যেটা আমাদের কাছে অচেনা একটা সাবজেক্ট | বুনো হাঁস ছবিতে এমন একজনের চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে‚ যে ব্যাগে করে জিনিস ক্যারি করে বিদেশে নিয়ে যায় | এর জন্য সে প্রচুর টাকা পায় | কিন্তু তারা জানেও না ব্যাগে কী আছে | এটা এর আগে বাংলা ছবিতে উঠে আসেনি |

প্রশ্ন : সিনেমা থিয়েটার যেমন চর্চার বিষয় তেমন পলিটিক্সও চর্চার বিষয় | এখন চর্চা ছাড়াই স্টারেরা পলিটিক্সে জয়েন করছেন | এটা কতটা যুক্তিসঙ্গত ?

সুদীপ্তা চক্রবর্তী : কোনওরকম চর্চা ছাড়া সিনেমাতেও অনেকে অভিনয় করেছেন | এবং তারা দর্শকদের হাততালি পেয়েছেন | গ্রহণযোগ্য হয়েছেন | কোনওরকম অভিজ্ঞতা ছাড়া অনেকেই সিনেমায় রোল চান | ধরেই নেওয়া হয়েছে‚ সিনেমার অভিনয় খুব সহজ বিষয় | তেমন এখন ধরে নেওয়া হয়েছে পলিটিক্সও বোধ হয় খুব সহজ | পলিটিক্স নিশ্চয়ই চর্চার বিষয় | আমার মনে হয় অন্য পেশার মানুষের তুলনায় ইয়ং যারা পলিটিক্স নিয়ে সিরিয়াসলি চর্চা করছেন‚ তাদেরকে পলিটিক্সে সুযোগ দেওয়া উচিত |